ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার

ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সংক্ষেপে ইডিসি) বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরে নানা ভাবে অবদান রাখা শুরু করেছে। এর বয়স খুব অল্প হলেও এমন কিছু ক্ষেত্রে অবদান রাখা শুরু করেছে যার খুব দরকার ছিল। পাঁচ জন নিবেদিত প্রান দেশি পণ্যের ই-কমার্স নারী উদ্যোক্তা এটি প্রতিষ্ঠা করে যাতে করে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুব দরকারি কন্টেন্ট, রিপোর্ট, গবেষণা, সার্ভে, লেখাপড়া, ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ এসব দিকে নিয়মিত ভাবে কিছু করা সম্ভব হয়।

Executive committee (EDC)

উল্লেখ্য ইডিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা ট্রাষ্ট আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ই-কমার্স ক্লাব, দেশি পণ্যের সিলেবাস, দেশি পণ্যের অনলাইনে প্রচার, ই-কমার্স নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা, সেমিনার, রাউন্ডটেবিলিএর মত ইভেন্টের আয়োজন ইত্যাদি নানা দিকে ইডিসি কাজ করা শুরু করেছে।

এদেশে ই-কমার্স নিয়ে প্রকাশনা একদম নেই বললেই চলে। ইডিসি সেই শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করছে। পাঁচ জন প্রতিষ্ঠাতার বাইরে আরো ১৫ জন নানা ভাবে ইডিসির সাথে জড়িত এবং এমন দক্ষ টিমের কারনে এটি অনেক ভাল কিছু করবে বলে আশা করা যায়।

  1. EDC কি?

EDC হচ্ছে e-Commerce Development Centre, যা দেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গবেষণা, তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

  • EDC কি ধরণের প্রতিষ্ঠান?

EDC হচ্ছে ট্রাস্ট আইনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং এটি পরিচালনার জন্য ৫জন ট্রাস্টি একত্রিত হয়েছেন। তারা হলেন- কাকলি তালুকদার, নিগার ফাতেমা, সালমা বেগম, উম্মে সাহেরা এনিকা এবং রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া।

  • EDC কেন? এর উদ্দেশ্য কি?

বাংলাদেশে ই-কমার্সের ইতিহাস মোটামুটি পুরনো। ১৯৯৯ সালে এদেশে প্রথম ই-কমার্স ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হলেও, ২০০৯ সাল পর্যন্ত, ১০ বছরেও এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য কোন আইনি কাঠামো বা বৈধতা ছিল না। ২০০৯ সালে সরকার ই-কমার্স বা অনলাইন লেনদেনকে বৈধতা দেয়ার পর ২০১৫ সালে ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সরকারি স্বীকৃতি পায় ট্রেড এ্যাসোসিয়েশন হিসেবে।

অর্থাৎ ই-কমার্স সেক্টরের জন্য একটি এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় বা ই-কমার্স বাংলাদেশে একটি আলাদা বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তাই গত ৭বছরে বাংলাদেশে ই-কমার্স সেক্টরে হাজার হাজার উদ্যোক্তা যোগ দিয়েছে ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে। এখন এদের নিয়ে কাজ করার মত সংগঠন বা সংস্থার খুব অভাব। ইডিসি সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এটি একটি অলাভজনক বা নন-প্রফিট সংগঠন বা ট্রাস্ট এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ই-কমার্স সেক্টরে লেখাপড়া, গবেষনা, রিপোর্ট, সেমিনার, প্রশিক্ষন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে অর্থাৎ নলেজ, স্কিল বা জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাওয়া। এই লক্ষ্যে ইডিসি বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সংঘটন, ই-কমার্স ভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানি বা সংগঠনকেও ইডিসি সাহায্য করতে চায়।

  • EDC এর কাজ কি?

ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পর্কিত জ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করাই হচ্ছে ইডিসির মূল কাজ। যেমন- ইডিসি ওয়েবসাইটটি অনেকের কাজে আসবে।

উল্লেখ্য ইডিসির কোন ফেইসবুক গ্রুপ নেই এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি মূলত কাজ করবে এবং এর একটি ফেইসবুক পেইজ থাকবে।

  • দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইডিসির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?

দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য জ্ঞানভিত্তিক ভাবে কাজ করছে এমন কোন সংগঠন বা সংস্থার কথা আমাদের জানা নেই। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে ইডিসি এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে বলে আশা করা যায়। এরপর হয়ত অন্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী হবে , কারণ দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করা দরকার এবং অনেক সুযোগ রয়েছে।

তবে এই মুহূর্তে ইডিসির বিকল্প নেই। আর জ্ঞানভিত্তিক কাজ অন্যরা তেমন করছে না, অন্যদের কাজ মূলত উদ্যোক্তাদের নিয়ে আর ইডিসির কাজ হচ্ছে পুরোপুরি তথ্য, লেখাপড়া, পরিসংখ্যান, গবেষণা, সার্ভে , প্রকাশনা , ট্রেনিং এসব নিয়ে। তাই ইডিসির প্রতিটি কার্যক্রমে দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি অল্প হলেও উপকৃত হবে।

  • ইডিসি নিয়ে কারা কাজ করছেন? কেন করছেন?

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ইডিসি নিয়ে ৫জন ট্রাস্টি কাজ করছেন এবং তাদের সাথে আরও কয়েকজন কাজ করছেন।

তারা কাজ করছেন মূলত ভালো কিছু কাজে তারা অবদান রাখবেন সেই স্বপ্ন থেকে। সবাই যদি আমরা নিজের কোম্পানি বা জবের দিকেই পুরোপুরি ফোকাস করি তাহলে কিন্তু সমাজ এগিয়ে যায় না বা আমাদের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির মত সম্ভাবনাময় একটি ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না।

বাংলাদেশের যে দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এতে অনেক গ্যাপ বা শূন্যতা রয়েছে এবং এজন্য প্রচুর কাজ করতে হবে। সে সব কাজে অবশ্যই কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না করা হলে আমরা এই সেক্টরে অনেক পিছিয়ে থাকব এবং এতে করে সামগ্রিকভাবে কেউই লাভবান হবে না। তাই ইডিসির যারা কাজ করছে, যে সব কাজ করছে, সেগুলোর সুফল ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে কাজ করা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ্য ভাবে না পেলেও পরোক্ষভাবে পাবেন।  

  • ইডিসির সদস্য পরিচিতি।

১। কাকলি তালুকদারঃ কাকলি তালুকদার ইডিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একজন লিডিং উদ্যোক্তা। নিজ উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী জামদানীর ব্র্যান্ডিং এ কাজ করার পাশাপাশি তিনি দেশীয় পণ্যের সকল উদ্যোক্তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ।

কাকলি তালুকদার

বেশ কয়েক বছর ধরে দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রচার প্রসারে সর্বোচ্চ ডেডিকেটেড ভাবে কাজ করে যাওয়া একজন ব্যক্তিত্ব তিনি। মিডিয়াতে তাঁর রয়েছে অসংখ্য লেখা এবং ইন্টারভিউ, যা দেশের জামদানী ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্য সমৃদ্ধ করেছে এবং দেশীয় পণ্যের ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের অনেক প্রশ্নের সমাধান দিয়েছে। আশা করা যায় তাঁর নেতৃত্বে ইডিসি খুব ভালো ভাবে এগিয়ে যাবে দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার মাধ্যমে।

২। নিগার ফাতেমাঃ নিগার ফাতেমা ইডিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি রবীঠাকুরের স্মৃতি বহনকারী খেস শাড়ি তথা ইনোভেটিভ খেস পণ্যের ব্র্যান্ডিং এ কাজ করছেন তাঁর উদ্যোগের মাধ্যমে। 

নিগার ফাতেমা

নিগার ফাতেমার নামের সাথে জড়িয়ে আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি নাম- দেশীয় পণ্য সিলেবাস। তিনি দেশীয় পণ্যের সিলেবাসের মতো নতুন একটা বিষয়কে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন, যা দেশের উৎপাদনশীল অর্থনীতিকে তরান্বিত করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। ইডিসির সাথে তাঁর কাজ শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী করে তুলবে বলে আশা করা যায়।

৩। উম্মে সাহেরা এনিকাঃ ইডিসির ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উম্মে সাহেরা এনিকা। দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি দেশের বাটিক শিল্পের ব্র্যান্ডিং এ কাজ করে যাচ্ছেন। বাটিক শিল্প তাঁর সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে পেয়েছে নতুন মাত্রা।

উম্মে সাহেরা এনিকা

তাঁর ইনোভেটিভ এবং ইউনিক সব বাটিকের ক্রিয়েশন বাটিক নিয়ে সবার ধারণাই বদলে দিয়েছে এবং বাটিক শুধু নিত্য ব্যবহার্য সাধারন পোশাকের তকমা দূর করে হয়ে উঠেছে এক্সক্লুসিভ দেশীয় পণ্য। উম্মে সাহেরা এনিকার কার্যক্রম ইডিসির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আশাবাদী ইডিসি টিম।

৪। সালমা বেগমঃ ইডিসির রিসার্চ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত আছেন সালমা বেগম। গত কয়েক বছর ধরে এলাকাভিত্তিক দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিং এ তিনি খুব ডেডিকেটেড ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অনলাইন উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপ্রিয় মিষ্টি, কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পনির, রাজশাহীর বিখ্যাত আম এবং দেশের অন্যতম জিআই পণ্য রাজশাহী সিল্ককে দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সালমা বেগম

দেশের প্রতিটি এলাকার বিশেষত্বকে তুলে আনতে এবং এলাকাভিত্তিক ই-কমার্সের সমস্যা সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করতে ইডিসি যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে, যাতে সালমা বেগমের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

৫। রাকিমুন জয়াঃ ইডিসির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য রাকিমুন জয়া এই সংস্থার ইনফরফেশন ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি টাঙ্গাইলের হাফসিল্ক তাঁত পণ্যের ব্র্যান্ডিং করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন ইনোভেটিভ পণ্যও সংযোজন করে তুলে ধরছেন দেশীয় পণ্যের বহুমুখী সম্ভাবনা।

রাকিমুন জয়া

এছাড়াও রাকিমুন জয়া তাঁর উদ্যোগের ফেইসবুক গ্রুপকে দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, যা উদ্যোক্তাদের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর সুযোগ তৈরীর পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ গ্রুপ পরিচালনার জন্য একটা আইডিয়াল হিসেবে কাজ করছে। দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্য সমৃদ্ধ করতে ইডিসির যে পদক্ষেপ, এর অংশ হিসেবে রাকিমুন জয়া খুব ভালো ভাবেই তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন আশা করা যায়।

  • ইডিসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো কি কি?

ইডিসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে আপাতত সেমিনার আয়োজন করা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রথম সেমিনারটি হচ্ছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ১৭ মে, ২০২২। এছাড়া ডিজিটাল পল্লী প্রজেক্টে ই-ক্যাবের সাথে কাজ করছে।

এরকম আরও কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। তাছাড়া ইডিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা দাঁড় করবে, যেমন- এই মুহূর্তে হয়ত ময়মনসিংহের জেলা পণ্যগুলোকে কিভাবে তুলে ধরা যায় ই-কমার্সকে কাজে লাগিয়ে এটি নিয়ে একটি পরিকল্পনা চলছে

আশা করা যাচ্ছে দুই মাসের মধ্যে এটি হয়ে যাবে। তখন এর আলোকে তখন বিভিন্ন জেলার জেলা পণ্যগুলো নিয়ে কিভাবে কাজ করা যেতে পারে সেরকম একটি গাইডলাইন তৈরি করা যাবে।

তবে অবশ্যই এটাও বাস্তবতা যে, এ ধরণের কাজগুলো বেশ সময় সাপেক্ষ, একইসাথে বাজেট এবং অর্থ প্রাপ্তির একটা ব্যাপার থাকে। তাই ইডিসি কোন মডেলে এসব প্রজেক্টের জন্য বাজেট সংগ্রহ করবে বা তহবিল গঠন করবে তা এখনো পুরোপুরি স্থির করা হয় নি। এটিও তাই ইডিসির একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ যে, কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের অর্থ বা তহবিল সংগ্রহ করলে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এবং বিতর্কমুক্ত থাকা যাবে।

এছাড়া রিসার্চ করা হবে, সার্ভে করা হবে। যেমন- দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের নিয়ে। ১০০ জন উদ্যোক্তাদের নিয়ে, তাদের কি সমস্যা, কি সম্ভাবনা, তারা কিভাবে কি করছেন এমন কিছু নিয়ে কোন রকম রিসার্চ এখন পর্যন্ত হয় নি। যদিও শুনতে খুবই সাদামাটা বা বেসিক কিছু মনে হচ্ছে, কিন্তু এ ধরণের রিসার্চ আমাদের দেশে হয় নি।

নিউজলেটার করতে হবে ইডিসির, যা দেশীয় পণ্যের ই-কমার্সের জন্যই হোক বা ইডিসির নিজস্ব, যেটাই হোক না কেন এটি সামনে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তারপর ইডিসি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রেজেন্টেশন দিবে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তাদেরকে শুধু ইডিসির প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য নয়, বরং দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে তারা কি ধরণের কার্যক্রম হাতে নিতে পারে সে ব্যাপারেও ইডিসি তাদেরকে প্রস্তাবনা বা পরামর্শ দিবে।

এছাড়া ই-কমার্স ক্লাবকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেয়া ইডিসির অন্যতম লক্ষ্য এবং ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এটির কার্যক্রম যথেষ্ট পরিমাণ এগিয়েছে বলে আমরা আনন্দিত।

  • দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধিতে ইডিসি কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?

ইডিসির কাজ আসলে দীর্ঘমেয়াদি। দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড় একটি সেক্টর এবং এখানে অনেক কিছুর ঘাটতি রয়েছে। যদিও লাখ খানেক উদ্যোক্তা এই সেক্টরে কাজ করছে, কিন্তু তাদের জন্য কোন রকম সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন, হ্যান্ডবুক এগুলোর কিছুই নেই। দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়েই কোন বই বা কোন রকম প্রকাশনাও নেই। ইডিসির প্রথম কাজই তাই এদিকে হওয়া উচিত।

তারপর দেশি শাল নিয়ে কোন একটা পিডিএফ ডকুমেন্ট করা বা দেশি থ্রীপিসের প্রচারণা ইত্যাদি অনেক কিছুই করা সম্ভব এবং করা দরকার। তবে তা নির্ভর করছে সবাই ইডিসিকে কতটা সাপোর্ট দিচ্ছে তার উপর।

সাপোর্ট বলতে শুধু আর্থিক সাপোর্ট নয়, কারণ ফেইসবুক বা সোসাল মিডিয়ার যুগে টাকার থেকেও বড় সাপোর্ট হবে যদি ইডিসির কার্যক্রমকে ১হাজার জন ছড়িয়ে দেয় তাদের লেখার মাধ্যমে, ভিডিওর মাধ্যমে বা কোন একটা কাজে ইডিসিকে সাপোর্ট করে।

যেমন- দেশি পণ্যের সিলেবাসের জন্য এখন অনেক কন্টেন্ট দরকার। অন্তত ১হাজার আর্টিকেল লিখলেও সেটা খুব সামান্য দেশি পণ্যগুলোকে নিয়ে।

  • ইডিসি বর্তমানে কি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে? কাজের অগ্রগতি কতটুকু?

ইডিসি বর্তমানে ই-ক্যাবের সাথে ডিজিটাল পল্লী প্রজেক্টে কাজ করছে। এছাড়াও এটি ই-কমার্স ক্লাব এবং দেশীয় পণ্যের সিলেবাস নিয়েও কাজ করছে। আর ইডিসির ওয়েবসাইটের যে ব্লগ রয়েছে সেখানে দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তারা কিভাবে ভালো আর্টিকেল লিখতে পারে সেদিকে কাজ করা হবে এবং ইডিসির পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই ইদের পর পরই দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য অফলাইন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

প্রথম ধাপে এই ট্রেনিং এ ১২জন উদ্যোক্তাকে নেয়া হবে এবং ধাপে ধাপে ইডিসি দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক অনলাইন ট্রেনিং নিয়েও এভাবে কাজ করবে।

  • দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ইডিসির ভূমিকা কেমন হতে পারে?

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে দেশি পণ্যের ই-কমার্সের যে ভূমিকা হতে পারে ইডিসির ভূমিকাও সেরূপই হবে এবং ইডিসি এদিক ফোকাস করেই ভালো কাজ করবে আশা করা যায়। আর ইডিসি যেহেতু দেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশীয় পণ্যের সমৃদ্ধিতেই কাজ করছে, তাই এর কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এক সময় বলে আমরা আশাবাদী।

  • দেশীয় পণ্যের প্রচারে ইডিসি কিভাবে ভূমিকা রাখছে?

এখন পর্যন্ত খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে না, কিন্তু ইডিসির প্রতিটি কার্যক্রমকে ফেইসবুকে ১৫-২০টা গ্রুপ সাপোর্ট করে যাচ্ছে। সুতরাং দেশি পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রে ইডিসি বেশ ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবে।

  •  ইডিসির মিডিয়া কভারেজ দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির অগ্রগতিতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে?

ইডিসির মিডিয়া কভারেজ দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির অগ্রগতিতে অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবে। তবে ইডিসি এখনো একটি শিশু সংঘটন। তাই এই ব্যাপারে খুব বেশি কথা বলার নেই, মিডিয়া কভারেজের ব্যাপারে খুব বেশি অগ্রগতি এখনো নেই। তবে ইডিসির ট্রাস্টি বোর্ড এবং উপদেষ্টা যারা আছেন, তাদের প্রায় সবাই ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত মুখ। তাই এক্ষেত্রে ইডিসি খুব ভালো কাজ করবে বলেই আশা করা যায়।

  •  ই-ক্যাব এর সাথে কার্যক্রমসমূহ।

আপাতত ই-ক্যাবের ডিজিটাল পল্লী প্রকল্পে কাজ করছে মানিকগঞ্জের ডিজিটাল পল্লি নিয়ে এবং এক্ষেত্রে ইডিসি সুনির্দিষ্টভাবে ৪টা কাজ করছে।

প্রথমত, ফেইসবুকে কন্টেন্ট লেখা ডিজিটাল পল্লী সম্পর্কে এবং এর কার্যক্রম অলরেডি খুব ভালোভাবেই শুরু হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল পল্লির বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্নোত্তর দেয়া, যা মানুষের কাজে দিবে এবং এগুলো ওয়েবসাইটে বা নিউজলেটারেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

তৃতীয়ত, একটা রিপোর্টের মতো তৈরি করা ডিজিটাল পল্লী এবং মানিকগঞ্জের তাঁত নিয়ে যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে।

চতুর্থত, এই প্রকল্প নিয়ে মিডিয়ার জন্য বেশ কিছু আর্টিকেল লেখা, যাতে একে ভালো ভাবে প্রচার করা যায়। কারণ এই মুহূর্তে এ নিয়ে তেমন কোন আর্টিকেল মিডিয়াতে নেই।

  • দেশীয় পণ্যের রিসার্চ, আর্টিকেল বৃদ্ধিতে ইডিসির পদক্ষেপসমূহ।

এটি বেশ সময় সাপেক্ষ কাজ। কারণ দেশীয় পণ্যের রিসার্চ আর্টিকেল লেখার মতো খুব বেশি কেউ ইডিসিতে এখন নেই। এই মুহুর্তে আমাদের পপি সরকার আপুর খুব ভালো রকম জ্ঞান এবং দক্ষতা এদিকে রয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে এদিকে প্রশিক্ষিত করতে হবে।

  • ই-কমার্স সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ইডিসি তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে?

এই মুহুর্তে আসলে এ ধরণের কার্যক্রম বা পদক্ষেপ নেয়ার মত বাজেট ইডিসির কাছে নেই এবং ইডিসির জন্য প্রতিদিন ডেডিকেটেড ভাবে এদিকে কাজ করার মত পর্যাপ্ত লোকজন নেই, যেহেতু এটি একটি নন-প্রফিট বা ভ্লান্টারি বা সেবামূলক একটি অর্গানাইজেশন।

তবে ইডিসি যেহেতু ই-কমার্স ক্লাব, দেশীয় পণ্য সিলেবাস নিয়ে কাজ করছে এবং ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধির জন্যই গঠিত হয়েছে, তাই এর প্রতিটি কার্যক্রমই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে ক্যারিয়ার গঠনে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে কাজে লাগানোর জন্য।

  • দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাসক্রমে ইডিসির পদক্ষেপ।

দেশীয় পণ্যকে ইডিসি প্রচার করছে এবং করে যাবে। এর মাধ্যমে তাই কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ অবশ্যই তৈরী হবে।

  •  শিক্ষাক্ষেত্রে দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে ছড়িয়ে দিতে ইডিসির ভূমিকা এবং কার্যক্রম।

ইডিসি দেশীয় পণ্যের সিলেবাস নিয়ে কাজ করছে, যা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার করা হচ্ছে, কন্টেন্ট করা হবে এবং আরও কোর্স ডেভেলপ করার পদক্ষেপ নেয়া হবে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য।

  •  ই-কমার্সে নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় ইডিসির পদক্ষেপ।

ইডিসি আসলে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের ফোকাস করে তৈরি হয় নি, নারী পুরুষ সবার স্বার্থেই এটি কাজ করবে। তবে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের সিংহভাগই হচ্ছে নারী এবং এজন্য এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য হয়ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আর এই মুহুর্তে যে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা দ্বারা মূলত নারী উদ্যোক্তারাই বেশি উপকৃত হচ্ছেন, তাই আলাদা করে নারীদের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়ার দরকার বলে মনে হচ্ছে না। ভবিষ্যতে যদি এই সেক্টরে পুরুষ উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে তখন নারীদের জন্য আলাদা করে কিছু করার চিন্তা করা যেতে পারে।

  • ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে ইডিসি কি ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে?

ইডিসি উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে অনলাইন এবং অফলাইন দুই ধরণের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাই করবে এবং তাদের থেকে আসলে জিজ্ঞেস করা হবে তারা কি ধরণের সাপোর্ট চায়, কি ধরণের নলেজ বা স্কিল তাদের দরকার। এক্ষেত্রে দেখা যায় উদ্যোক্তাদের অনলাইন বিজনেস ম্যানেজ করার মত বেসিক নলেজের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

যেমন- বর্তমানে ৫০০ এর বেশি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে, কিন্তু এসব গ্রুপের বেশির ভাগ এডমিন মডারেটরদের ফেইসবুক পেইজ বা গ্রুপগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার মত বেসিক নলেজ বা দক্ষতা নেই। তাই এই গ্যাপ দূর করাও ইডিসির জন্য অনেক বড় ধরণের একটি কার্যক্রম হতে পারে।

  • দেশীয় পণ্যের সিলেবাসকে সরকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্সভুক্ত বা পাঠ্যভুক্ত করতে ইডিসির ভূমিকা।

অলরেডি দেশীয় পণ্যের সিলেবাস নিয়ে ইডিসি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করছে। ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এটি নিয়ে বেশ ভালোই আগ্রহী। কিন্তু এই মুহূর্তে ইডিসির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে কন্টেন্টের ঘাটতি। কারণ কন্টেন্ট ছাড়া শুধু সিলেবাস দিয়ে তো কোন কোর্স কার্যক্রম চলতে পারবে না। তাই এর জন্য ৪-৫জনের একটি টিম ঠিক করতে হবে, যারা দেশীয় পণ্যের সিলেবাসের কন্টেন্ট তৈরিতে সাহায্য করবে।

  •  দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সরকারি বাজেট নিয়ে ইডিসির কোন চিন্তা আছে কি?

সরকারি বাজেট প্রণয়ন একটা নির্দিষ্ট নীতি নিয়মের ভেতর দিয়ে হয়, যার উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করার মত ক্ষমতা ইডিসির নেই। তবে ইডিসি যা করতে পারে তা হল, আগামী বছর বাজেট প্রণয়নের আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকেই দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধিতে যে সব খাতে বাজেট দরকার তা নিয়ে কয়েক পেইজের একটি সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরী করে সরকারি সংস্থা গুলোতে প্রস্তাবনা আকারে পেশ করতে পারে।

শেষ কথাঃ একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আশা করা যায় যে যত দিন যাবে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশি পণ্য নিয়ে ইডিসির কাজ গুলো অনেকের উপকারে আসবে। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অনেকে মিলে চেষ্টা করলে অনেক অসম্ভব কিছুও সহজে সম্ভব হয়ে যায়।

লেখিকাঃ

23 thoughts on “ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার”

  1. Farhana Zaman Enas

    চমৎকার তথ্যপূর্ন একটি লেখনী। ইডিসি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। আমাদের এই সম্বন্ধে জানার যতটুকু ঘাটতি ছিলো তা এই ব্লগের মাধ্যমে পূর্ণ হলো।

  2. Mosammat Sharmin Akhter

    ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইডিসির সম্পর্কে জেনে।৫জন ট্রাস্টির দক্ষতায় ইডিসি চমৎকার পদক্ষেপ নিয়েছে ইতিমধ্যে। ইডিসির পুরো টিমকে জানাই অভিবাদন ও শুভকামনা।

  3. আপু অসংখ্য ধন্যবাদ। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির শেখরের পৌঁছে দিতে, দেশি পণ্যের উদ্দোক্তাদের সঠিক কার্যক্রমে টিকে থাকার আত্মবিশ্বাস ও দেশি পণ্যের ঢেউ তুলে এগিয়ে যাবে ইডিসি।

  4. অনেক ধন্যবাদ আশা আপু। ইডিসি নিয়ে দারুন এ লেখাটি পড়ে অনেক ভালো ধারণা পেলাম।

  5. EDC নিয়ে একদম ক্লিয়ার একটা আইডিয়া পাওয়া গেলো। দেশীয় পন্য এবং বিভিন্ন জেলা পন্যের প্রসারে EDC চমৎকার ভূমিকা রাখবে আশা করছি।
    সঠিক নীতিমালা প্রনয়ন করে উদ্যোক্তাদের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা গড়ে তুলতে ও কাজে লাগবে। তাই EDC কে সমর্থন করছি এবং এর কার্যক্রমে পাশে থাকবো আমরা নারী উদ্যোক্তাগন।

  6. ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে খুব ভালো লেগেছে। ইডিসির পরিকল্পি পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।

    দেশীয় পণ‍্যের উদ্যোক্তা দের দক্ষতা বৃদ্ধির জন‍্য বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব‍্যবস্থা করা অনেক ভালো একটা উদ্যোগ

  7. Rokaiya Chowdhury

    খুব চমৎকার চমৎকার তথ্য পেলাম ইডিসি নিয়ে, ইডিসির কার্য নিয়ে।
    ইনশাআল্লাহ ইডিসি খুব ভালো কিছু নিয়ে আসবে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে…

  8. ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম ধন্যবাদ আশা আপু।এর আগে কখনো এমন উদ্যোগ কেউ নেয়নি এটিই প্রথম এমন মহতি উদ্যোগ।
    ইডিসির মাধ্যমে প্রত‍্যেক উদ্যোক্তা উপকৃত হবে। বর্তমানে মানিকগঞ্জের ডিজিটাল পল্লি নিয়ে ইডিসির কাজ অত‍্যন্ত প্রশংসনীয়।ই কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পাঁচ লিজেন্ড আপু তাদের দক্ষতার নিরিখে স‍্যারের দিকনির্দেশনায় অনেক ভালো কিছু উপহার দিবে দেশ কে।

  9. Md. Ibnul Rahman

    আশা করছি যত দিন যাবে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশীয় পণ্য নিয়ে ইডিসির সকল উদ্যোগগুলো দেশের নানান উপকারে আসবে। ইনশাআল্লাহ ইডিসির পাশে আমি আছি৷ যে কোনো ধরণের ইভেন্টে বা যে কোনো প্রয়োজনে ইনশাআল্লাহ আমি সাথে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। ইডিসি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা এখানে প্রয়োজন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে অনেক বড় অসম্ভবকেও সহজে সম্ভব করা যায়।

    সবশেষে ইডিসির জন্য রইলো অনেক দোয়া আর শুভ কামনা।

  10. Md. Ibnul Rahamn

    আশা করছি যত দিন যাবে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশীয় পণ্য নিয়ে ইডিসির সকল উদ্যোগগুলো দেশের নানান উপকারে আসবে। ইনশাআল্লাহ ইডিসির পাশে আমি আছি৷ যে কোনো ধরণের ইভেন্টে বা যে কোনো প্রয়োজনে ইনশাআল্লাহ আমি সাথে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। ইডিসি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা এখানে প্রয়োজন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে অনেক বড় অসম্ভবকেও সহজে সম্ভব করা যায়।

    সবশেষে ইডিসির জন্য রইলো অনেক দোয়া আর শুভ কামনা।

  11. Sabiha Binte Khadiza

    ধন্যবাদ আপুকে ইডিসি সম্পর্কে সুন্দর করে লেখার জন্য। ইডিসি সম্পর্কে সার্বিকভাবে একটা ধারনা পেলাম। দেশীয় পণ্যের ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ইডিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ।

  12. Ashrafunnesa Flora

    Thank you so much apu for giving a clear idea about EDC and its activities. It is a great initiative and will have a long term effect on e commerce industry.

  13. Supriya Biswas

    ইডিসি সম্পর্কে কি জানেন?
    এমন কোনো প্রশ্ন করা হলে শুধু এর এলাবরেশনের সাথে কমন একটা কথা (দেশীয় পণ্যের অনলাইনভিত্তিক প্রচার) ছাড়া আর কিছুই হয়তো বলতে পারতাম না। কিন্তু আশা আপুর এই আর্টিকেলটা পড়ে এর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারলাম ।আর সকলের মতন আমিও আনেক আশাবাদী ইডিসি এর ব্যাপারে। তার তাই আমিও চাই এই কর্মযজ্ঞের অংশ হতে😊।আমার নিজ জেলাকে সবার সামনে তুলে ধরতে🥰।

  14. Kazi Hasina Akter Shimu

    ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

  15. Jannatun Naher Liya

    ইডিসি নিয়ে যতটুকু জানলাম এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তাতে মনে হয়েছে খুব ভাল কিছু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য, দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য ও উদ্যোক্তাদের জন্য।

    যত দক্ষ জনগোষ্ঠী ইডিসির সাথে যুক্ত হতে থাকবে তত দ্রুত ইডিসি এগিয়ে যাবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

    ইডিসির সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের অধিকারী।

  16. Aynoon Naher Choudhury

    ইডিসি সম্পর্কে অনেক সুস্পষ্ট ধারণা পেলাম আপু।অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। ইডিসির উদ্যোগ সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

  17. Jenish Farzana Tania

    জানলাম ইডিসি নিয়ে বিস্তারিত। অনেকের মতো আমার মনেও অনেক প্রশ্ন ছিল। আজ যতটুকু জানলাম তাতে প্রাথমিক ভাবে ইডিসি নিয়ে একটা ভালো ধারনা তৈরি হলো। ভালো লাগছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে শুরু থেকেই চলতে পারছি যা অন্যের জন্য কিছু করার ইচ্ছেয় চলতে শুরু করেছে। ইডিসির সফলতা কামনা করি।
    আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের ইডিসি নিয়ে পরিষ্কার ধারনা দেয়ার জন্য।

  18. এই লেখার মাধ্যমে ইডিসির সমস্ত কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে ভালো লাগল। বাংলাদেশের ই কমার্সের উন্নয়নকল্পে ইডিসি খুব বড় ভুমিকা রাখবে। আমরা এই কার্যক্রমের অংশ হয়ে এর পাশে থাকব। এর মাধ্যমে সকল উদ‍্যোক্তা এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করবে।

  19. Miftahul Jannat

    ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এমন একটি উদ্যোগ আর কেউ কখনো নেয়নি যেটা শুধুমাত্র তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক হবে। ই-কমার্স নিয়ে এমন গবেষণা এই প্রথম আমাদের দেশে হতে যাচ্ছে। মূল কমিটির ৫ জন খুবই দক্ষ ও যোগ্য মানুষ যাদের হাত ধরে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠান পাচ্ছি।
    ইডিসির মতো এমন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে এর সূচনালগ্ন থেকে থাকতে পারছি সেটাই আমার জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার।
    ইডিসির প্রত্যেকটা কার্যক্রমে এর সাথে আছি এবং ভবিষ্যতে ও থাকবো ইনশাআল্লাহ। ইডিসির প্রতিটি কাজের সফলতা কামনা করছি।

    1. shahida akter supti

      ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম।
      খুব সুন্দর ও তথ্য বহুল পোস্ট।আমি নিজেও এই কাজের সাথে থাকতে চাই। ইডিসির সফলতা কামনা করছি।
      এতো সুন্দর তথ্য বহুল পোস্ট লেখার জন্য খাতুন এ জান্নাত আশা আপুকে অনেক ধন্যবাদ।

  20. আপনার লেখার মাধ্যমে পুরোপুরি ইডিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

  21. Most Asrafunnesa Mukti

    EDC নিয়ে অনেক টা ধারনা পেলাম আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

  22. ইডিসি, ইডিসির ভবিষ্যৎপরিকল্পনা, ইডিসি টিম এবংইডিসির কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম
    আপু। লেখাটি খুব ভালো লাগল।

Write your comment

Scroll to Top