ইডিসির কার্যক্রম সমূহ

ভূমিকাঃ

ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির জন্য কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি একটি ট্রাস্ট এবং এর ৫ জন ট্রাস্টি মিলে এর কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছেন। ইডিসি এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

১। রিসার্চ/ গবেষণাঃ

দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে রিসার্চ/গবেষণার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সর্বাধিক। এখন পর্যন্ত দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে সেই অর্থে বড় মাপের কোন গবেষণা হয় নি এবং নিয়মিত ভাবে এদিকে তেমন গবেষণা হয়ই না বলা যায়। এদিকে যে গবেষণার ঘাটতি বা অনুপস্থিতি রয়েছে, এ নিয়েও তেমন কোন দ্বিমত নেই। এজন্য ইডিসি এক দিকে যেমন নিজেরা গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিবে, অন্য দিকে যারা এদিকে কাজ করতে পারবেন তাদেরকে উৎসাহিত করবে, অনুপ্রাণিত করবে, তাদের সাথে যোগাযোগ করবে ইত্যাদি।

যেমন- গবেষণার জন্য সবচেয়ে সেরা স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে ১৫০ এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে, দেশি পণ্য নিয়ে, অনলাইনে দেশি পণ্য কে উপস্থাপন করা নিয়ে বা যারা ইতিমধ্যেই অনলাইনে দেশি পণ্য নিয়ে বিজনেস করছে ফেইসবুক পেইজ খুলে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, তাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন গবেষণা করতে আগ্রহী হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সহজে গবেষণার জন্য তথ্য খুঁজে পেতে পারে সেদিকে ইডিসি কাজ করার চেষ্টা করবে।

ইডিসি প্রথমে যা করবে তা হচ্ছে, কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কথা বলে এদিকে তাদের সহযোগিতা করবে এবং তারপরে একটা মডেল তৈরি হয়ে গেলে সেটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও উপস্থাপন করবে। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে যাতে দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আরও বেশি কাজ হয়, গবেষণা হয়, ভালো মানের কাজের উদ্যোগ যেন নেয়া হয়, এর জন্য ইডিসি তাদের সাথে যুক্ত হয়ে এদিকে চেষ্টা করবে। দেশি পণ্য হচ্ছে অনেক গুলো মন্ত্রণালয়ের সাথে জড়িত এবং এজন্য তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা খুব জরুরি। আর ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) বা এফবিসিসিআই এধরণের বানিজ্য সংগঠনগুলোর সামনে দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে গবেষণার গুরুত্ব, গবেষণার বিভিন্ন আইডিয়া ইত্যাদি ইডিসি তুলে ধরবে।

২। সার্ভে/ জরিপঃ

দেশি পণ্য নিয়ে ই-কমার্সে/অনলাইনে কাজ করতে গেলে বেশ কিছু সার্ভে আসলে থাকা উচিত। আর ই-কমার্সে অনলাইন লেনদেনে দুটি পক্ষ থাকে, একটি হচ্ছে কাস্টমার এবং আরেকটি হচ্ছে উদ্যোক্তা। এই দুই ধরণের লোকদেরই সার্ভে করা দরকার, এই ইন্ডাস্ট্রির মার্কেট সার্ভে করা দরকার। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সার্ভে/ জরিপ থাকা জরুরি।

যেমন- এখন পর্যন্ত দেশি পণ্য নিয়ে কারা কাজ করছে, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের সংখ্যা কত, এই উদ্যোক্তাদের নিয়ে কোন ডিটেইলড বা বিস্তারিত সার্ভে বা জরিপ করা হয় নি। আবার একই ধরণের পণ্য নিয়ে যে সব উদ্যোক্তা বিজনেস করছে, যেমন- ই-কমার্সে জামদানী নিয়ে কাজ করছে এমন অসংখ্য পেইজ রয়েছে, উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের নিয়ে কোন ভালো মানের সার্ভে এখন পর্যন্ত হয় নি। জামদানী এখানে একটি উদাহরণ মাত্র, কোন পণ্য নিয়েই আসলে সেই ভাবে বড় আকারের সার্ভের কথা আমরা জানি না।

এছাড়া যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাদের নিয়েও তেমন বড় মাপের কোন সার্ভে করা হয় নি। অফলাইনে যারা কাজ করেন, কেনাকাটা করেন বা বিক্রি করেন, তাদের নিয়ে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। অনেক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে। কিন্তু অনলাইনে এখনো এটি নিয়ে আমরা খুব বেশি দূর আগাতে পারি নি বা কাজ করতে পারি নি।

তাই ইডিসি এদিকে উদ্যোগ নিবে এবং স্বাভাবিক ভাবেই সাংগঠনিক সামর্থ্য বা বাজেট ইত্যাদির কথা চিন্তা করে ছোট পরিসরেই উদ্যোগ নিবে, কিন্তু চেষ্টা করা হবে কোয়ালিটি রক্ষা করার জন্য। যাতে করে পরবর্তীতে যারা এদিকে কাজ করবে তারা একটি ভালো স্যাম্পল বা গাইডলাইন পায় এবং তারা তাদের মত করে ভালো ভাবে কাজ করতে পারে।

৩।দেশীয় পণ্যের কন্টেন্টঃ

দেশীয় পণ্যের জন্য কন্টেন্ট তৈরি ইডিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উদ্যোগ হবে এবং এক্ষেত্রে সবাইকেই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যেই দেশি পণ্যের একটা সিলেবাস করা হয়েছে এবং সেখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরির পণ্য পাওয়া গেছে। এই পণ্যগুলো নিয়েই কন্টেন্ট তৈরির কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এই পণ্যগুলো কোথায় পাওয়া যায়, এগুলোর ছবি, ভিডিও ইত্যাদি অনেক কিছুই যোগাড় করতে হবে।

ইডিসির ওয়েবসাইট এদিকে এক সময় বিশাল তথ্য ভান্ডারে পরিণত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং দেশি তাঁতের পোশাক- যেমন- শাড়ি, লুঙ্গী , পাঞ্জাবি, থ্রীপিস, গামছা, শাল, বিছানার চাদর ইত্যাদি নিয়ে তথ্য থাকবে। এটি আসলে ছোট একটি অংশ মাত্র, তারপরও আমরা কাজ শুরু করতে পেরেছি। আর দেশি পণ্যের কন্টেন্ট তৈরি করার দরকার এজন্য যে অনলাইনে বাংলা বা ইংরেজি কোন ভাষাতেই খুব বেশি তথ্য নেই। এক জায়গায় তো নেই-ই। এর ফলে যারা এ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, যারা গবেষণা করতে চান, যারা ডিসিশন মেকার বা যারা বিভিন্ন প্রজেক্ট বা প্রকল্প হাতে নেন বা বিজনেসের উদ্যোগ নিতে চাচ্ছেন, স্টার্ট আপ করতে চাচ্ছেন, তারা উপকৃত হবেন। এ কাজ ইডিসির একার পক্ষে করা সম্ভব না। কিন্তু ইডিসি সাধ্যমত চেষ্টা করবে এদিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য।

৪। দেশীয় পণ্যের প্রমোশনঃ

দেশি পণ্যের প্রমোশনে ইডিসি গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সোসাল মিডিয়াতে দেশি পণ্য নিয়ে অনেকগুলো গ্রুপ রয়েছে এবং তারা বেশ ভালো কাজ করছে। প্রতিদিন দেশি পণ্য নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ মিলিয়ে না হলেও ১০ হাজার পোস্ট আসছে এবং দেশি পণ্যের প্রমোশনের জন্য এটি বেশ ভালো ভূমিকা রাখছে। তবে এই গ্রুপগুলো আরও ভালো অবদান কিভাবে রাখতে পারবে, বিশেষ করে আরিফা মডেল কিভাবে উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষ লেখকে পরিণত করতে পারে এদিকে ইডিসি কাজ করবে। ইডিসির ভূমিকা আসলে এখানে সরাসরি কাজ করা হবে না।

ইডিসি যেটা করবে সেটা হচ্ছে যারা উদ্যোক্তা রয়েছেন এবং বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন, মডারেটররা রয়েছেন তাদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত ১০০ গ্রুপের এডমিন মডারেটরদেরকে দেশি পণ্যের প্রমোশনের ব্যাপারে অনলাইনে কি ধরণের কৌশল নেয়া যায় তা নিয়ে জানাতে চাই এবং তাদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও হয়ত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের যারা ইডিসিতে এদিকে দক্ষ অভিজ্ঞ রয়েছেন তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

ই-ক্যাবের সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ ইডিসির এক জন সম্মানিত এডভাইজর বা উপদেষ্টা। ফেইসবুকে কন্টেন্ট নিয়ে, ই-কমার্স নিয়ে, দেশি পণ্যের প্রচার নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে। এছাড়াও তাঁর মতো অভিজ্ঞ আরও কয়েকজনকে চেষ্টা করব আনতে যেন এদিকে আমরা বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন যারা রয়েছেন তাদের জন্য ভালো কিছু গাইডলাইন দিতে পারি।

এছাড়া ইডিসির অফলাইন ইভেন্টে কিছু দেশীয় পণ্যকে তুলে ধরা হবে। প্রথমে হয়ত সাতক্ষীরার মাদুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গামছা এ ধরনের পণ্যকে প্রদর্শন করা যাবে। মানিকগঞ্জের তাঁতশিল্পের প্রচার ইতিমধ্যেই এই প্ল্যান অনুযায়ী শুরু হয়ে গেছে। এভাবে বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন দেশি পণ্যকে অফলাইনে প্রমোট করা হবে।

৫। কমার্স ক্লাবঃ

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা ধরণের ক্লাব রয়েছে যেখানে তা নিয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা কাজ করে থাকে, ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু জানার ও শেখার চেষ্টা করে থাকে। তেমনি ইডিসির পক্ষ থেকে ই-কমার্স ক্লাবের আইডিয়াটি তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এটি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ই-কমার্স ক্লাব গঠন করা হয়েছে এবং সেখানে এ নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

আমরা ইডিসি থেকে বিশ্বাস করি যে, এদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ই-কমার্স ক্লাব বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। এই মুহূর্তে হয়ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় তা বাস্তবায়ন করছে, কিন্তু যখন ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-কমার্স ক্লাব হবে এবং সারা বছর ধরে ই-কমার্স নিয়ে শিক্ষার্থীরা জানবে, শিখবে, আর সেই সাথে কিছু মেলা, সেমিনার আয়োজন করবে তা অবশ্যই ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এভাবে ছোট ছোট কার্যক্রমগুলো সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত হলে ই-কমার্স নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও আগ্রহ তৈরি করবে, তারা পাশ করে এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের চিন্তা করবে এবং এর মাধ্যমে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। ই-কমার্স ক্লাবের ধারণা থেকে শুরু করে এটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম এসব নিয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ই-কমার্স ক্লাবকে ইডিসি নানা ভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং আশা করা যায় এই অভিজ্ঞতা অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতেও কাজে লাগবে।

৬। অফলাইন ইভেন্টঃ

প্রতি মাসেই ইডিসি অফলাইন ইভেন্টের আয়োজন করার চেষ্টা করবে। দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা যারা রয়েছেন তাদের নিয়ে বা বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন মডারেটরদের নিয়ে অথবা দেশীয় পণ্য নিয়ে যারা অনলাইনে নিয়মিত লিখছেন তাদের নিয়ে ইডিসি ইভেন্ট করার চেষ্টা করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা অফলাইন ইভেন্টের জন্য দুটি গ্রুপকে সিলেক্ট করেছি- একটি হচ্ছে উম্মে সাহেরা এনিকার তেজস্বী গ্রুপ, আরেকটি হচ্ছে সালমা নেহার টেস্টবিডি গ্রুপ।

এ দুটি গ্রুপে যারা নিয়মিত তাদেরকে এসব অফলাইন ইভেন্টে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে ইডিসির সামর্থ্য অনেক সীমিত, তাই খুব বেশি লোককে অফলাইন ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ তেমন নেই।

অফলাইন ইভেন্ট গুলোতে যারা আসছেন তারা একটি ফি বা চাঁদা দিচ্ছেন খাবারের বিল বাবদ। সেটি খুবই নগণ্য এবং যেই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট বা যে ধরণের খাবার দেয়া হচ্ছে তার সাথে কম বেশি সেই মূল্যটা সামঞ্জস্যপুর্ণ।

এসব ইভেন্টের উদ্দেশ্য শুধু আলোচনা, আড্ডা বা নেটওয়ার্কিং নয়, সেই সাথে প্রতিটি ইভেন্টে গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য দেয়া, কিছু লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি করা হচ্ছে। এবং যত দিন যাবে ইভেন্টগুলোতে হয়ত আরও বেশি লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে বা আরেকটু বড় পরিসরে আয়োজন করা যাবে।

ইডিসি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলেও অফলাইনে ইভেন্ট করতে উদ্যোগী হয়েছে। এছাড়া ই-ক্যাব সহ ই-কমার্স নিয়ে যারা কাজ করছে সেই সব সংগঠনের সাথে মিলেও ইডিসি বিভিন্ন অফলাইন ইভেন্ট করবে বলে আশা করা যায়।

৭। অনলাইন ইভেন্টঃ

ইডিসি অনলাইনে জুম বা এধরণের প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ইভেন্টের আয়োজন করবে। যেমন- কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে, ই-কমার্স বা দেশীয় পণ্য নিয়ে সেখানে হয়ত আলোচনা অনুষ্ঠান অথবা তথ্য দেয়া এধরণের ইভেন্ট করা হবে। সেই ইভেন্টগুলো সম্পর্কে জানানোর জন্য আমরা রাকিমুন জয়ার পরিধানশৈলী গ্রুপটিকে বেছে নিয়েছি।

এধরণের ইভেন্টগুলোতে হয়ত কিছুটা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে খুব বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একেকটি ইভেন্টে হয়ত ১০০/২০০/৫০০ জন সর্বোচ্চ যোগদান করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন ধরণের ইভেন্ট করা হবে এবং একসময় হয়ত ১হাজার জনও একসাথে জয়েন করতে পারবেন।

সময়ের সীমাবদ্ধতার কারনে সবাই যে কথা বলতে পারবেন তা না, সবার কথা শোনাও সম্ভব হবে না। কিছু মানুষ প্রতি ইভেন্টেই আলোচনা করবেন এবং অনেকের প্রশ্নোত্তর দেয়া হবে। তবে এটি যেহেতু একটি নতুন ধারণা বা নতুন কাজ আমাদের জন্য তাই ধীরে ধীরে এটি সম্পর্কে আমরা আরও বিস্তারিত জানব এবং বিস্তারিত তথ্য সবাইকে দিতে পারব। ধীরে ধীরে বেশ ভালো একটা ফরমেটে একে আনা যাবে বলে আমরা আশা করি।

৮। ওয়ার্কশপঃ

ইডিসি চেষ্টা করবে প্রতি মাসেই ওয়ার্কশপ আয়োজনের জন্য, যা অনলাইন অফলাইন দুই ভাবেই হবে। ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য, বিশেষ করে যারা দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তা তাদের জন্য সহায়ক বিষয়সমূহ নিয়ে ওয়ার্কশপগুলো ডিজাইন করা হবে। অফলাইন ওয়ার্কশপ হলে এই মুহূর্তে খুব বেশি লোকের জায়গা হবে না। ১২ জন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জন নিয়ে অফলাইন ওয়ার্কশপ গুলো হবে।

অনলাইন ওয়ার্কশপগুলোও প্রথম দিকে খুব বেশি লোক নিয়ে ইডিসি করবে না, যাতে করে এক দিকে কোয়ালিটি মেইনটেইন করা যায় এবং অল্প কয়েক জন মিলে ওয়ার্কশপ করে এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা যায়। ওয়ার্কশপে ইন্সট্রাক্টর বা শিক্ষক হিসেবে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন দিক নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ উদ্যোক্তা বা ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মিলেও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে অনলাইন অফলাইন দুই দিকেই।

৯। ট্রেনিং/প্রশিক্ষনঃ

ট্রেনিং/ প্রশিক্ষনের দিকে ইডিসি পর্যায়ক্রমে নানা ধরণের কার্যক্রম হাতে নিবে। প্রথম ধাপে ১০-১২ জনকে সিলেক্ট করে তাদেরকে অফলাইন এবং অনলাইনে ট্রেনিং দেয়ার একটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। হয়ত প্রথমে সপ্তাহ ব্যাপী অথবা মাস ব্যাপী ট্রেনিং দেয়া যাবে।

যেহেতু ইডিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তাই ট্রেনিং বা প্রশিক্ষন কার্যক্রমের ফি সাধ্যের মধ্যে থাকবে এবং তা খুব বেশি হবে না। তাছাড়া দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের নিয়ে সেই অর্থে কোন রকম দীর্ঘমেয়াদি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা এখনো করা হয় নি কোন জায়গাতেই।

বিশেষ করে দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে যারা কাজ করছেন বা যারা এই সেক্টরের উদ্যোক্তা, তাদের সমস্যাগুলো কিছুটা অন্য ধরণের এবং তাদের অনেকেই ফেইসবুকে ডলার খরচ করে বুস্ট করা, স্পন্সর এড দেয়া অথবা অনেক টাকা খরচ করে প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে লাইভ করার সামর্থ্য তাদের নেই।

আর এদিকে বেসিক যে স্কিল দরকার, যেমন- টেকনিক্যাল স্কিল বা কমিউনিকেশন স্কিল এগুলো কিভাবে অর্জন করা যেতে পারে সেদিকেও জানার অনেক ঘাটতি রয়েছে অনেকেরই। এসব বিষয় নিয়ে ইডিসি কাজ করবে এবং আশা করা যায় সময় লাগলেও ইডিসি এদিকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবে। তবে ট্রেনিং/ প্রশিক্ষন সেই অর্থে ইডিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হবে না কখনোই, বরং রিসার্চ, প্রকাশনা, অনলাইন কন্টেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলোই অধিক গুরুত্ব পাবে।

১০। সেমিনারঃ

ইডিসি চেষ্টা করবে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করার এবং ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন দিক ও দেশি পণ্যের ই-কমার্স, বিভিন্ন রকমের দেশি পণ্য, এসবই হবে সেমিনারের টপিক। সেমিনার আয়োজনের জন্য ইউনিভার্সিটি গুলোর সাথে মিলে কাজ করার চেষ্টা করবে ইডিসি, বিশেষ করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির যে ই-কমার্স ক্লাব থাকবে তাদের সাথে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ইডিসির যারা কাজ করছেন তাদের সময় সীমিত এবং সবকিছু যে প্রতি মাসে হবে তাও নয়। তবে বছরে অন্তত কয়েকটা সেমিনার করার ইচ্ছা অবশ্যই রয়েছে আমাদের এবং আশা করা যায় আমরা এক্ষেত্রে ভালো মানের কিছুই উপহার দিতে পারব।

১১। নিউজলেটারঃ

দেশি পণ্যের ই-কমার্সের জন্য একটি অনলাইন নিউজলেটার জরুরি হয়ে পরেছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ইডিসি তাদের নিজস্ব কার্যক্রম নিয়েই একটি অনলাইন নিউজলেটার প্রকাশ করার দিকে মনযোগ দিবে। হয়ত ৩ মাসে একটি করে নিউজলেটার হতে পারে। আর তা যদি বাস্তবায়ন না করা যায় তাহলে বছরে দুটি, মানে ৬ মাস পর পর একটি করে নিউজলেটার করা হবে।

এছাড়া দক্ষ লোক পাওয়া গেলে হয়ত প্রতিমাসেই একসময় একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করা যেতে পারে ইডিসি নিয়ে, দেশি পণ্য, দেশি পণ্যের সিলেবাস, ই-কমার্স ক্লাবের কার্যক্রম এগুলো নিয়ে হতে পারে। যারা ইডিসির সাথে জড়িয়ে রয়েছেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তারা এসব নিউজলেটারে লেখা পাবলিশ করবে নিয়মিত। এর বাইরে বিভিন্ন দিকে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে যা কাজ হচ্ছে সেগুলো ছবিসহ ছোট ছোট নিউজ আকারে দেয়া যেতে পারে। তবে আমাদের মনে হয় যে, ইডিসির কার্যক্রমের জন্য একটি নিউজলেটার খুব দরকার। যারা ইডিসি এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদেরকে ইডিসি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট জানানো যাবে।

১২। ব্লগঃ

ইডিসির ওয়েবসাইটে ব্লগ প্রথম থেকেই থাকছে। ব্লগে ই-কমার্স, দেশি পণ্য, দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল তৈরি হবে। এছাড়া ই-কমার্সের বিভিন্ন তথ্য থাকবে এই ব্লগে। ব্লগে অনেকে লিখবেন, অনেকের লেখাই পাবলিশ হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ১০ জনের মত লেখক প্যানেল রয়েছে ব্লগের জন্য। তারা মাসে একটি করে লেখা দিলেও ১০টি লেখা ব্লগে চলে আসবে। ব্লগ বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায়ই থাকবে। কিছু লেখা ইংরেজিতে সরাসরি ব্লগে পাবলিশ করা হবে। আবার অনেক লেখা হয়ত বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেয়া হবে।

১৩। কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ইয়ারবুকঃ

বছরের প্রথমে বিগত বছরের দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংবাদ, তথ্য এবং উদ্যোক্তাদের কথা, পণ্য নিয়ে আলোচনা, পণ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষেপে সারা বছরের যে ইতিহাস এবং কার্যক্রম তা নিয়ে ইয়ারবুক করার প্ল্যান রয়েছে ইডিসির। যেহেতু প্রকাশনা, কন্টেন্ট, আর্টিকেল তৈরি বেশ ব্যয়বহুল এবং সেই পরিমাণ বাজেট ইডিসি সংগ্রহ করতে পারবে কিনা নিশ্চিত না, তাই ইডিসি যদি এটা নিজে নাও করতে পারে, এই পরিকল্পনাটা তৈরি করে দিবে এবং অন্যরা যদি পারে এটি বাস্তবায়ন করবে।

এটি ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুব দরকার। কারণ ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এখন মাল্টি বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে এবং একটি ইয়ারবুক থাকলে সারা বছরের প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা এক জায়গায় একসাথে পাব এবং এটি আশা করি যে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যেখানে ২০২২ সালের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো থাকবে।

১৪। বুকঃ

ই-বুক করার একটি সুবিধা হচ্ছে এটি ছাপতে তেমন কোন খরচ দরকার হয় না। পিডিএফ ফরমেটে দিয়ে দিলে যে কেউ এটা সহজেই দেখতে পারে মোবাইল ফোনে হোক বা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ যে কোন ডিভাইস থেকে। ইডিসি বিভিন্ন দিকে ই-বুক প্রকাশ করার চেষ্টা করবে এবং এর জন্য দক্ষ লেখক পুল দরকার। ই-কমার্সের বিভিন্ন দিকে, বিশেষ করে দেশি পণ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে ই-বুক রচনা করার দরকার। যেমন- ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণির শিশুদের উপযোগী করে দেশি পণ্যের পরিচিতি নিয়েও ই-বুক হতে পারে, আবার দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রচারে কি ধরণের কৌশল নেয়া দরকার সেটি নিয়েও ই-বুক হতে পারে।

ই-বুক যে কোন টপিকেই হতে পারে এবং আমরা এদিকে খুব সিরিয়াস ভাবে চেষ্টা করব। কারণ দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি শুধু না, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়েও বাংলাদেশে বই বা প্রপার গাইডলাইনের খুবই অভাব।

১৫। রিপোর্ট তৈরি করাঃ

ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইডিসি রিপোর্ট তৈরি করবে। বিশেষ করে ই-কমার্স ক্লাব এবং দেশি পণ্যের সিলেবাস এই দুই দিক নিয়ে আমরা রিপোর্ট তৈরির দিকে মনযোগ দিব। রিপোর্ট খুব বেশি করতে হবে তা না, মানসম্মত রিপোর্ট করতে পারাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে রিপোর্টের যথেষ্ট অভাব রয়েছে এই মুহূর্তে। আশা করা যায় ইডিসি এদিকে ভালো ভূমিকা পালন করবে। আর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বা আরও সংগঠনের সাথে অথবা ব্যক্তির সাথে মিলেও ইডিসি রিপোর্টের দিকে মন দিবে। এই মুহুর্তে দেখা যাচ্ছে যে, টাঙ্গাইলের পপি সরকারের মত কয়েকজনকে যদি এক করা যায় তাহলে রিপোর্ট তৈরির কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তাই ভালো রিপোর্ট তৈরির আগে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে মন দিতে হবে এবং কয়েকজনকে নিয়ে স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে এদিকটাতে, যাতে তাদের দক্ষতা এই পর্যায়ে পৌঁছায় যা দিয়ে তারা ভালো কিছু রিপোর্ট উপহার দিতে পারবে।

১৬। ডিজিটাল পল্লী প্রজেক্টের সাথে কার্যক্রমঃ

ইডিসি এই মুহুর্তে ই-ক্যাবের সাথে ডিজিটাল পল্লী প্রজেক্টের ব্যাপারে সাপোর্ট দিচ্ছে। ডিজিটাল পল্লী মানিকগঞ্জের তথ্য সংগ্রহ, অনলাইনে প্রমোশন, মিডিয়ার জন্য লেখা তৈরি এসব দিকে কাজ করছে। এছাড়া মানিকগঞ্জের তাঁতের শাড়ি ও বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আলোচনা, ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের এডমিনদেরকে তাদের গ্রুপে আলোচনা করতে উৎসাহিত করা এসব নিয়েও ইডিসি চেষ্টা করছে। তা করা গেলে ভাল একটি উদাহরণ তৈরি হয়ে যাবে।

ই-ক্যাবকে এধরণের সাপোর্ট আশা করি ভবিষ্যতে আরও কাজে দেয়া হবে। ই-ক্যাবের মত আরও এ্যাসোসিয়েশন রয়েছে তাদের সাথেও ইডিসি কাজ করবে বলে আশা করা যায়। ইডিসি চেষ্টা করছে কিছু দিকে দক্ষতা অর্জন করতে বা দক্ষ লোকদের একত্রিত করতে, যাতে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসে।

১৭। ইডিসির ফেইসবুক পেইজঃ

ইডিসির ফেইসবুক পেইজ থাকছে এবং সেখানে ইডিসির বিভিন্ন আপডেট থাকবে। এছাড়া দেশি পণ্যের ই-কমার্স নিয়ে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা হবে এই ফেইসবুক পেইজ থেকে। বাংলাদেশে ফেইসবুকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ এক্টিভ, যার ফলে তারা সহজেই এখান থেকে আপডেট পেতে পারবেন। তবে ইডিসির ফেইসবুক পেইজটি কখনোই খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু হবে না।

এটি কেবল তথ্য দেয়ার জন্য এবং আপডেট দেয়ার জন্য বা কোন কিছু শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হবে। ইডিসির মূল কার্যক্রম পরিচালিত হবে ওয়েবসাইটে। 

১৮। ইডিসির ওয়েবসাইটঃ

ইডিসির বেশির ভাগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। www.edcbn.com হল ইডিসির ওয়েবসাইট এবং এখানে নিয়মিত ভাবে বা প্রায় প্রতিদিন কন্টেন্ট আপলোড করা হবে এবং নানা ধরণের কন্টেন্ট এখানে থাকবে।

ব্লগ, নিউজলেটার, রিপোর্ট, বিভিন্ন আর্টিকেল, দেশি পণ্যের সিলেবাস, সিলেবাসের টপিক নিয়ে আর্টিকেল, ইউটিউবের ভিডিও আপলোড করে ওয়েবসাইটে এমবেডেড করে দেয়া- এভাবে অনেক কিছুই করা হবে।

এছাড়া থাকছে ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট বা ইডিসির অফলাইন ইভেন্টে বা অনলাইন ইভেন্টে ইডিসির ওয়েবসাইটের জন্য যারা লেখা দিতে চান বা দিবেন, তাদের থেকে বাছাই করা কন্টেন্টগুলো এখানে দেয়া হবে। ওয়েবসাইটের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকবে।

ওয়েবসাইটে আমরা এমন কন্টেন্ট দিতে চাই, যাতে করে যে কেউ সারাদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং প্রতিদিন এখানে আসার তাগিদ অনুভব করবেন প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য। আর দেশি পণ্যের সিলেবাসের কন্টেন্ট থাকার ফলে এই ওয়েবসাইটটি শুধু যারা ই-কমার্স নিয়ে আগ্রহী তাদের না, বরং সারাদেশের সব মানুষের মনযোগের কেন্দ্র হতে পারে এবং উপকারে আসতে পারে। সেই উদ্দেশ্যেই আসলে ওয়েবসাইটটি পরিচালিত হবে।

১৯। দেশি পণ্য নিয়ে ডকুমেন্টারিঃ

দেশি পণ্য নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরি করা দরকার। ইডিসি এদিকে উদ্যোগ নিবে এবং ইউটিউব থাকার ফলে এখন তা প্রচার করার সীমাবদ্ধতা তেমন নেই। ইউটিউবে এবং ফেইসবুকে এই ডকুমেন্টারিগুলোকে রাখা হবে, যাতে করে সবাই দেখতে পারে। বিভিন্ন টপিকে ডকুমেন্টারি হতে পারে।

তবে ডকুমেন্টারির পাশাপাশি দেশি পণ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে বা দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স সম্পর্কিত টপিকে উদ্যোক্তাদের মতামত নিয়েও ভিডিও তৈরি হতে পারে। যেমন- কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ১০ জন বা ২০ জন উদ্যোক্তা এক-দুই মিনিট করে কথা বললেন সেই ভিডিও ফাইলটাও কিন্তু অনেকের কাজে আসবে। আবার ইডিসির বিভিন্ন প্রজেক্ট বা কার্যক্রম নিয়ে ডকুমেন্টারি হতে পারে।

২০। অনলাইন ডিরেক্টরিঃ

ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে অনলাইন ডিরেক্টরি থাকা দরকার। কারণ বিশেষ করে দেশি পণ্য নিয়ে যারা কাজ করছে তারা কি ধরণের পণ্য নিয়ে কাজ করছে, তাদের সাথে যোগাযোগের উপায় কি ইত্যাদি জানার উপায় থাকলে সবার উপকার হবে। দেশীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রির গ্রোথ বোঝার জন্য, এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে রিসার্চ সার্ভে করার জন্য এই ধরণের তথ্যগুলো অনেক বেশি জরুরি।

তাই ইডিসি দেশীয়  পণ্য নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তাদের অনলাইন ডিরেক্টরি তৈরির চিন্তা করছে, যেখানে দেশীয় পণ্যগুলোর ক্যাটাগরি অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের ডিটেইলস তথ্যাবলি থাকবে। তবে এটিও মাথায় রাখতে হবে এধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা একদিকে যেমন অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ, আরেকদিকে অনেক বাজেটের দরকার এবং সেই সাথে স্কিল্ড লোকেরও দরকার। তাছাড়া এধরণের ডিরেক্টরি হলে কিভাবে কোন ধরণের ঝামেলা না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। অনেকেই যেটা হয়ত করবেন, এধরণের ডিরেক্টরিতে নাম বা ঠিকানা থাকলে একজন উদ্যোক্তার সাথে হয়ত কেউ লেনদেন করবেন এবং কোন সমস্যা হলে তারপর বলবেন আমরা তো ইডিসির ডিরেক্টরিকে বিশ্বাস করেছিলাম, এখন ঠিকমত আমরা প্রডাক্ট পাচ্ছি না বা টাকা দিয়ে আমরা বিপদে পরেছি ইত্যাদি।

যেটা মনে রাখতে হবে আসলে, অনলাইন ডিরেক্টরির মাধ্যমে শুধু তথ্য দেয়া হয় এবং কার পণ্য কেমন, কোয়ালিটি কেমন অথবা তিনি কতটা বিশ্বস্ত বা নির্ভরযোগ্য সেটার গ্যারান্টি আসলে কেউ দিতে পারে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে হবে আমাদের। এজন্যই অনেক সতর্ক ভাবে এগুতে হবে এবং অনলাইন ডিরেক্টরি আমরা ধীরে ধীরে করব আশা করি।

ইডিসির কাজটা হবে যে, আমরা ডিরেক্টরিতে প্রাথমিক ভাবে হয়ত কিছু উদ্যোক্তার তথ্য দিব এবং এটা দেখে হয়ত স্বাভাবিক ভাবে সরকারি বা বেসরকারি সেক্টরের যারা ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন যেমন- ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর মত সংগঠন হয়ত এধরণের ডিরেক্টরি বড় পরিসরে তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সেক্ষেত্রে ইডিসির ভূমিকা হবে যে, আমরা একটা ফরমেট দাঁড় করাব, কিছু প্ল্যান তৈরি করব এবং এমন তথ্যগুলো দিব যা অন্যদের কাজে লাগবে।

২১। সাকসেস স্টোরিঃ

ইডিসির বিভিন্ন অনলাইন ইভেন্ট, অফলাইন ইভেন্টে যারা ভালো করবেন তাদেরকে এই ক্যাটাগরিতে রাখা যেতে পারে। আবার যারা দেশি পণ্য নিয়ে ভালো কিছু করবেন বা নতুন কিছু করবেন তাদেরকেও সাকসেস স্টোরি হিসেবে তুলে ধরে উৎসাহিত করা যায়। সাকসেস স্টোরিগুলো এভাবে ইডিসির ওয়েবসাইটে হয়ত পর্যায়ক্রমে ১০০ জনের চলে আসতে পারে।

প্রথমে ১০ জন দিয়েই শুরু হতে পারে। যিনি হয়ত অপ্রচলিত কোন দেশীয় পণ্য যেমন- সাতক্ষীরার মাদুর বা হালুয়াঘাটের গামছার মত এমন কোন পণ্যের কথা আমাদের জানালেন যেগুলো সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না। গত আড়াই বছরে দেশি পণ্যের যে ঢেউ এসেছে ফেইসবুকে, তার মধ্যে আমরা অনেক নতুন নতুন পণ্যের কথা জেনেছি, যা হয়ত অনেক বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট জেলায় প্রচলিত, কিন্তু অন্যান্য জেলার লোক জানেই না।

এক্ষেত্রে তুলসিমালা চালের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। শেরপুরের তুলসিমালা চাল খুব জনপ্রিয় এবং শেরপুরের দেলোয়ার হোসেন উনার “আওয়ার শেরপুর” ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলসিমালা চালের প্রচার করেন এবং ফেইসবুকে নিয়মিত কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে এই চালকে জনপ্রিয় করেছেন। এভাবে ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে তুলসিমালা চালের কথা হাজার না আসলে লাখো মানুষ জানে। এ ধরণের কাজ যারা করবেন তাদেরকেও সাকসেস স্টোরি হিসেবে তুলে ধরা যায়। এছাড়া ইডিসির জন্য যারা বিশেষ অবদান রাখবেন তাদেরকেও সম্মানিত করা হবে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে।

২২। দেশীয় পণ্যের এক্সিবিশনঃ

আমাদের সারাদেশেই অনেক ধরণের দেশীয় পণ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই দিকটা এমনিতেই যেমন অবহেলিত, উপেক্ষিত তেমনি দেশীয় পণ্যগুলো সম্পর্কে খুব বেশি কিছু আমরা জানি না। যেমন- রসমালাই বলতে কুমিল্লার রসমালাইকেই সবাই সবচেয়ে সুস্বাদু বলে জানে, কিন্তু গাইবান্ধার রসমুঞ্জরি বা আরও কয়েকটি জেলার রসমালাইও অনেক মজার হলেও সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানি না। আমাদের কম জানার কারণে অনেক দেশীয় পণ্য এখন বিলুপ্তপ্রায় বা পূর্বের জৌলুস হারিয়েছে প্রায় যেমন- রংপুরের শতরঞ্জি, সিলেটের শীতলপাটি, ইসলামপুরের কাঁসা পিতল শিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি আরও অসংখ্য দেশীয় পণ্য।

তাই এ ধরণের দেশি পণ্যের এক্সিবিশন সারাদেশেই হওয়া দরকার। বিশেষ করে যদি খাবারের এক্সিবিশন হয়, তাহলে এক জেলার খাবার সম্পর্কে অন্য জেলার মানুষ জানতে পারবে এবং এর হয়ত জনপ্রিয়তা বাড়বে। মিষ্টি আইটেমের ক্ষেত্রে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলারই নিজস্ব কিছু ঐতিহ্যবাহী মজাদার মিষ্টি রয়েছে, যা ঐ জেলায় খুব বিখ্যাত এবং প্রচলিত, কিন্তু অন্যান্য জেলায় তেমন জনপ্রিয় না।

তাই দেশীয় পণ্যের এক্সিবিশন করতে হবে। ইডিসি এদিকে খুব বেশি কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ নিয়মিত এক্সিবিশন করা একদিকে ব্যয়বহুল, আরেক দিকে পর্যাপ্ত লোকবল এই কাজগুলোতে দরকার হয় যা ইডিসির এই মুহূর্তে নেই। আর এক্সিবিশনের দিকে বেশি ফোকাস করতে গেলে ইডিসির মূল যে কার্যক্রম পড়ালেখা, গবেষণা, প্রকাশনা, প্রশিক্ষন ইত্যাদি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাবে। তবে ইডিসি এসব দিকে কিছু আইডিয়া দিবে, যা হয়ত কাজে লাগিয়ে অনেকে উদ্যোগী হবেন এবং অনেক বেশি ইভেন্ট বা এক্সিবিশন করা সম্ভব হবে সারাদেশে।

২৩। দেশীয় পণ্য সিলেবাসঃ

দেশি পণ্যের সিলেবাস ইডিসির অন্যতম বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিগার ফাতেমা এটি ২০২০ সালে দেশি পণ্যের সিলেবাস প্রণয়ন করেন আমাদের এডভাইজার রাজিব আহমেদের তত্ত্বাবধানে। এরপর গত দুই বছর ধরে তা নিয়ে সময় দিচ্ছেন, নিয়মিত আপডেট করার চেষ্টা করছেন, জানার চেষ্টা করছেন এবং ২০২২ সালে আমরা এটি খুব ভালো মত শুরু করতে পেরে আনন্দিত। আর দেশি পণ্যের সিলেবাসকে ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সবাই এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সিলেবাসের টপিক অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করা গেলে এর অধীনে কোর্স চালু করা যাবে হয়ত কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ধীরে ধীরে তা হয়ত এক সময় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, অনার্স কলেজগুলোতেও চালু হবে।

এক সময় দেখা যাবে দেশি পণ্যের এই সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে ৪ বছরের অনার্স এবং এক বছরের মাস্টার্স কোর্সও চালু হতে পারে। এসব হয়ত সময় সাপেক্ষ কাজ, তবে এটি করা খুব দরকার। দেশি অন্যের সিলেবাসের প্রয়োজনীয়তা এজন্য যে, আমরা অনেকে খুব উচ্চশিক্ষিত কিন্তু নিজের দেশে উৎপাদিত এবং সম্ভাবনাময় পণ্যগুলো নিয়ে তেমন কিছু জানি না। নিজ জেলার বাইরের পণ্য নিয়ে একদমই জানি না এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

ই-কমার্সের কারণে দেশি পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রি সবকিছুই এখন অনেক সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। তাই এক জেলার যা বিখ্যাত পণ্য তা বাকি ৬৩ টি জেলার লোকের কাছেও বিক্রি করা সম্ভব, পাঠানো সম্ভব, এমনকি হোম ডেলিভারি দেয়াও সম্ভব। কিন্তু সেই জন্য আগে সেই সব পণ্যের প্রচার দরকার, প্রচারের আগে সেই পণ্য সম্পর্কিত তথ্য দরকার। ইডিসির পক্ষে এটি একা বাস্তবায়ন করা কোনভাবেই সম্ভব না।

আমরা আশা করি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এদিকে এগিয়ে আসবে এবং এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সংগঠন/ সংস্থার সাথেও কথা বলব।

শেষ কথাঃ

উপরে উল্লেখিত সবকিছু যে একসাথে বাস্তবায়ন করতে হবে বা করা যাবে এমন নয়। সব কাজের জন্যই সময় লাগবে, অর্থ লাগবে, লোকবল লাগবে। তাই ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যাবো। আশা করি সবার সহযোগিতা ও শুভকামনা পাবো। আমাদের পরিকল্পনার সাথে যখন আপনাদের সবার সাপোর্ট যুক্ত হবে তখনই আমরা ভালো কিছু কাজ আপনাদেরকে উপহার দিতে পারব বলে আশা রাখছি।

লেখিকাঃ

11 thoughts on “ইডিসির কার্যক্রম সমূহ”

  1. ইডিসির সহযোগিতায় একদিন দেশীয় পণ্য অনেক ভালো করবে ইনশাআল্লাহ আশা করা যাচ্ছে।

  2. সুলতানা পলি

    আমিও ভাবছিলাম ইডিসির কার্যক্রম আসলে কি। বুজতে পারছিলাম না। এই আর্টিকেল পড়ে পুরো ক্লিয়ার হয়ে গেলো। দেশীয় পন্যের ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক মাইলফলক পদক্ষেপ।

  3. Mst.Muslima Akter

    মাশাআল্লাহ্,চমৎকার উপস্থাপন হয়েছে ইডিসি ও এর কার্যক্রম নিয়ে।খুব সহজেই পুরো বিষয়টি জানা সহজ হয়েছে এই লেখার মাধ্যমে। ধন্যবাদ আশা আপু।

  4. Thamina Sultana

    আপু অনেক সুন্দর লিখেছেন। অনেক তথ্য জানতে পারলাম। এভাবে এগুলে ই-কমার্স ক্লাবগুলোর কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।

  5. Mashum Uzzaman Chowdhury

    ইডিসির কার্যক্রম জেনে আমি অভিভূত, না পড়লে হয়তো আমরা জানতাম না এভাবেও চিন্তা করা যায়। ইডিসি চমৎকার ভাবে তার কাজের বিস্তৃতিকে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা এটার জন্য যে শ্রম দিচ্ছেন আল্লাহ তার উত্তম বদলা আপনাদের দিবেন ইনশাআল্লাহ।

  6. Fatema Sultana

    ইডিসির ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হলো আপনার সুন্দর লেখনির মাধ্যমে। তথ্য বহুল লেখা। পড়ে ভালো লেগেছে।

    ধন্যবাদ আপু।

  7. Fatema Sultana

    ইডিসির ভবিষ্যত কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন আপু। সুন্দর লেখনির মাধ্যমে প্রত্যেকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু অজানা বিষয় গুলো জানার সুযোগ হলো।

  8. ইডিসির এই কার্যক্রমে আপনাদের সাথে আছি।
    এখানে যে ২৩ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রতিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কার্যক্রম ধীরে ধীরে শুরু হলে সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে। সবাই আরও বিষদভাবে জানতে পারবে। এই প্রজন্ম তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও উপকৃত হবে আশা করছি। ইডিসির এই বিশাল উদ্যোগ কে সাদুবাদ জানাই। শুভ কামনা সবসময়ই।

  9. Rahanur ferdousi

    আপনার লেখার মাধ্যমে ইডিসি এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এতে একদম পরিষ্কার যে ইডিসি আগামীর জন্য দারুণ একটা সম্ভাবনার নাম। যার মাধ্যমে অনেকেই কাজ পাবে, কাজের মাধ্যমে সন্মান এবং স্বীকৃতিও পাবে। নিজেরা উৎসাহিত হয়ে নিজেদের কাজের মাধ্যমে অনুপ্রানিত করবে অন্যদেরও। দেশ এবং দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন এক সম্ভাবনা নিয়ে আসছে ইডিসি।
    আরিফা মডেলের মাধ্যমে ইডিসি পাবে দক্ষ উদ্যোক্তা কারন, একমাত্র আরিফা মডেলেই আছে একজন দক্ষ মানুষ গড়ার মন্ত্র।
    আরিফা মডেল ইডিসি আর ই-কমার্স সবাই সবার হাত ধরে একটা প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধ এক দেশের সন্ধানে।

  10. Syeda Kamalia Rahaman

    ইডিসির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ হলো এই লেখার মাধ্যমে। অনেক ধন্যবাদ।

  11. ইডিসির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসে আমরা একের পর এক নতুন বিষয়ে জানছি। ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু জানার সুযোগ হবে এটা ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে। কেননা দিনশেষে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত হিসেবেই দেখতে চাই আমরা।

    বাস্তবেই উপলব্ধি করতে পারছি – আরিফা মডেল আমাদের পথচলা আগের তুলনায় অনেক অনেক সহজ করেছে যার দরুণ ইডিসির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্ম। রাজিব আহমেদ স্যারের অবদান সবসময় মনে থাকবে।

    ইডিসির সাথে আছি ইনশাআল্লাহ💗

Write your comment

Scroll to Top