পেইন্টিং প্রাগৈতিহাসিক যুগে আদিম অধিবাসীদের গুহা পেইন্টিং এর মাধ্যমে শুরু হলেও কালের বিবর্তন এ খুব সুন্দর ভাবে পরিমার্জিত হয়ে এই পেইন্টিং টা প্রভাব বিস্তার করেছে পুরো বিশ্বে। পেইন্টিং শব্দ টা শুনতেই আমরা সব সময় চিন্তা করি ক্যানভাস পেইন্টিং এর কথা। এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই ক্যানভাসে কারো পোট্রেইট আঁকা হয় যা সমাদৃত হয় যুগের পর যুগ। তবে হ্যান্ড পেইন্টিং বলতে মূলত ফেব্রিক পেইন্টিং কে বুঝি আমরা। ফেব্রিক মানে কাপড় এবং পেইন্টিং মানে রং তুলিতে আঁকা। ফেব্রিক বা কাপড়ে যখন রঙ ও তুলির সাহায্যে নানা রকমের ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয় এবং তা পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় বর্তমান ফ্যাশন কে ফলো করে, এটাই হল ফেব্রিক পেইন্টিং এর বেসিক কথা। হ্যান্ডপেইন্ট শব্দ দুটি এক সাথে হলেও এর মূল অর্থ হলো হাতে আঁকা বা রঙ করা। হাত দিয়ে আমরা রঙ তুলির সাহায্যে যা ই পেইন্ট করি তাই ই হ্যান্ড পেইন্টেড হিসেবে গন্য হয়।
বিশ্বে হ্যান্ড পেইন্ট এর গুরুত্ব এবং চাহিদা সব সময় ই খুব প্রশংসনীয় ছিল। দুই হাজার বছর পূর্বে চীনের রাজা হ্যান এর রাজত্ব কালে হ্যান্ড পেইন্টেড কাপড়ের খুব কদর ছিল। রাজ দরবারে এই কাপড় উপহার হিসেবে দিত সম্মানিত করতে। আলেকজান্ডার এর সময় হ্যান্ড পেইন্ট করা পোশাক ছিল অনেক দামী পন্য এবং সেই হ্যান্ড পেইন্টেড পোশাক ইউরোপ ও আফ্রিকায় রপ্তানী করতো বানিজ্যিক ভাবে। এবং সে সময়ের পর জাপান ও চীন এই হ্যান্ড পেইন্ট এর কৌশল রপ্ত করে। হ্যান্ড পেইন্ট চীনের বিখ্যাত পোশাক চেংসাম এবং জাপানের কিমোনো তে খুব সাড়া ফেলেছিল এর সৌন্দর্য দিয়ে। এভাবেই আস্তে আস্তে হ্যান্ড পেইন্ট এর পোশাকের ভিন্নতা নিয়ে আসে চীন ও জাপান। সিল্ক ফেব্রিকের উপর ক্যালিগ্রাফি করার মাধ্যমেই হ্যান্ড পেইন্টিং এর সূচনা করা হয় তার পর মসলিন এর উপর হ্যান্ড পেইন্ট করা শুরু হয়। শুরুর দিকে পেইন্টিং এর মেটারিয়ালস প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি করতো এবং রঙ ও ছিল প্রাকৃতিক রঙ।
আশির দশকে সেলিব্রেটি শিল্পী দের পোশাকে হ্যান্ড পেইন্ট এর মাধ্যমে বিখ্যাত হোন আমেরিকার চিত্র শিল্পী হায়াসিন্থ ব্যারন এবং তিনি হ্যান্ড পেইন্ট এর পাশাপাশি এই শিল্প কে নিয়ে নিজের আলাদা ফ্যাক্টরি তৈরি করেন। তিনি হ্যান্ড পেইন্ট এর ডিজাইন এর প্রিন্ট কপি তৈরি করতে প্রায় চারশ শ্রমিক নিয়ে একটি কারখানা পরিচালনা করতেন। সেখানে নিজে পেইন্টিং করতেন শিখাতেন এবং সেটাকে আপডেট ভার্সনে দেয়ার জন্য প্রিন্ট এর ব্যবস্থা করতেন।
হ্যান্ড পেইন্টিং আগেও যেমন এক্সক্লুসিভ ছিল তেমনি এখনো এক্সক্লুসিভ এটা।লন্ডনের সেন্ট মার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং এবং টেক্সটাইল ডিজাইনের উপর পড়াশোনা শেষ করে তরুন আর্টিস্ট হলি ফওলার্স পোশাকে হ্যান্ড পেইন্ট করা শুরু করেন। এবং তার পছন্দের মোটিফ ছিল অর্নামেন্টাল ডিজাইন। তিনি পোশাকে এতো সুন্দর ভাবে রিয়েলিস্টিক অর্নামেন্ট পেইন্ট করতেন যা দেখে সবাই রীতিমতো মুগ্ধ হতো। পোশাকে অর্নামেন্টস এর পেইন্টিং এর সৌন্দর্য টা ইল্যুশন এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারদর্শী ছিলেন হলি ফওলার্স
এছাড়াও ২০১৩ সালে একটি পেইন্টিং শো তে মডেলের পোশাকে লাইভ হ্যান্ড পেইন্ট করে বিখ্যাত হোন মাত্র ২২ বছর বয়সী তরুন ডিলান ও ব্রাউন। শিল্পীর কাজ শিল্প কে তুলে ধরা তা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় ই সম্ভব করতে পারেন শিল্পী।
ডিলান ও ব্রাউন অনেক টা তেমন ই করেছিলেন সেই পেইন্টিং শো তে।
আমাদের বাংলাদেশে হ্যান্ড পেইন্ট এর পথিকৃৎ ছিলেন পটুয়া কামরুল হাসান তিনি তার পেইন্টিং এর মাধ্যমে নানা বিধ গল্প তুলে ধরতেন যার অন্তর্ভুক্ত ছিল পারিবারিক, সামাজিক,এবং রাজনৈতিক দৃশ্যপট। তিনি কখনো ই অলস হয়ে বসে থাকতেন না। ভীড়ের মাঝে ও তিনি কাগজে কলমে স্ক্যাচ করতেন বা রেখাচিত্রের মাধ্যমে পেইন্টিং করতেন। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হ্যান্ড পেইন্ট পোশাক কে সামনে নিয়ে আসেন রাজশাহীর কাজি রকিব এবং মাসুদা কাজী দম্পতি। তারা দেশের বড় বড় ব্র্যান্ড গুলোর সাথে কাজ করেছিলেন। বর্তমানে তারা দুজন আমেরিকা প্রবাসী। অনেক পরে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রী তে হ্যান্ড পেইন্ট কে আবার নতুন করে উপস্থাপন করতে অবদান রাখেন প্রয়াত ডিজাইনার শাহরুখ শহীদ, তিনি হ্যান্ড পেইন্টেড পোশাক কে হেনরিজ হেরিটেজ আবার মাঝে মাঝে শাহরুখস কালেকশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি তে তিনি পরলোকগমন করেন।
এছাড়া ও মংগলশোভা যাত্রার বিভিন্ন অবজেক্ট এর সৃষ্টি কারী তরুন ঘোষ এবং স্বপন চৌধুরী হ্যান্ড পেইন্ট শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
হ্যান্ড পেইন্ট পন্য সময় সাধ্য, দক্ষ হাতে করতে হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে একটি পন্য তৈরি হয়। এর কদর ও গুটি কয়েক শ্রেনীর মানুষ করতে পারেন।
হ্যান্ড পেইন্ট এর বিভিন্ন প্রকার ভেদ আছে যার মধ্যে ফেব্রিক ভেদে পেইন্টিং এর কৌশল ভিন্ন হয়।
বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার টিকইল গ্রাম কে আল্পনা গ্রাম হিসেবে জানে মানুষ। বাংলাদেশের হ্যান্ড পেইন্টেড গ্রাম “আল্পনা গ্রাম”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের টিকইল গ্রাম কে বলা হয় আল্পনা গ্রাম। এই গ্রাম মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। এখানের বেশীর ভাগ ঘর গুলো তৈরি করা হয় মাটি দিয়ে।আর এই মাটির দেয়ালেই শখের বসে রঙ তুলি দিয়ে আঁকাআঁকি শুরু করেন দেখন বর্মন নামের এক শিল্পী। যিনি মূলত গৃহিণী এবং তাঁর আল্পনা বা নকশা করার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল ছোট থেকেই। এভাবে ই ঘরের দেয়ালে আলপনা এঁকে ই তিনি সাড়া ফেলে দেন গ্রামের মানুষ বৈকি বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
এই আল্পনার মাধ্যমেই পরিচিতি পান তিনি পুরো দেশ জুড়ে এবং এই গ্রামের মানুষ ও খুব অনুপ্রানিত হয় নিজেদের ঘর গুলো কে আল্পনার রং দিয়ে রাংগিয়ে তুলেন। মুলত মাটি থেকেই রঙের উপাদান তৈরি করতেন শিল্পি রা কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম থাকতো।তাই আস্তে আস্তে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গিরিমাটি, আমের আটির গুরা,চক গুড়া, শুকনো বরই গুড়া, কচু ও কলা গাছের শাঁস কে ৪/৫ দিন পানিতে ভিজিয়ে রঙের উপাদান তৈরি করেন। এবং এই উপাদান দিয়ে আল্পনা করলে তা অনেক দিন টেকসই থাকে। গ্রামের মানুষ মনে করেন ঘর সুন্দর করে সাজানো গোছানো থাকলে দেবতার আশির্বাদ পাওয়া যায় এবং এটি পবিত্রতার লক্ষন।
দেখন বর্মনের এই শখ থেকেই টিকইল গ্রামের আল্পনা গ্রামের উদ্ভব হয়। এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে সম্মাননা পান তিনি। এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুদান সরুপ প্রাপ্ত ইটের ঘর কে ও তিনি বিভিন্ন আল্পনা দিয়ে সাজিয়ে রাখেন। ঘরের প্রতিটি কোনায় আল্পনার চিহ্ন আছে। এবং রান্না ঘর,উঠান ও আল্পনার শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত।
এই গ্রাম টি দেখতে অনেক পর্যটক সেই গ্রামের যান এবং দেখন বর্মনের ঘরটি ঘুরে আসেন। এই ঘর টি পরিদর্শনের পর পরিদর্শক দের অনুরোধ করা হয় ঘর সম্পর্কে মন্তব্য লিখার জন্য। এবং এক্টা রেজিস্ট্রার খাতায় এই এই সব লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।
রিকশা পেইন্টিং শব্দ টা এসেছে ১৯৫০ সাল থেকে। ঢাকায় তখন ত্রী চক্র যান নামক বাহন রিকশার উপর বিভিন্ন ধরনের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হতো। এবং সেই থেকেই রিকশা পেইন্টিং শুরু হয়। রিকশা পেইন্টিং এর অনেক ক্যাটাগরি আছে। শুরুর দিকে রিকশা পেইন্টিং এর মূল বিষয় ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের বিভিন্ন দিক গুলো, যেমন মসজিদের ছবি আরবি লিখা ছিলো রিকশা পেইন্টিং এর বিষয়। এভাবে একে একে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন দিক চকে আসে সময়ের সাথে সাথে। রিকশা পেইন্টিং যখন বিলুপ্তির পথে চলে আসে প্রিন্টিং প্রেসের কারনে তখন ই পেইন্টিং কে ধরে রাখেন বিস্কুট আবির নামক এক তরুন। তিনি এই শিল্প কে ধরে রাখতে রিকশার বাইরে অন্যান্য মেটারিয়ালস এর উপর পেইন্টিং শুরু করেন। ফেব্রিকের উপর ও রিকশা পেইন্টিং এর প্রচলন চলে আসে। বিস্কুট আবির তার এই শিল্প কে ধরে রাখতে বিস্কূট ফ্যাক্টরি নামক একটি আর্ট ফার্ম ও তৈরি করেন এবং এভাবেই তার মাধ্যমে রিকশা পেইন্টিং এর শুরু হয় বাংলাদেশে। এবং বর্তমানে অনেক তরুন উদ্যোক্তা রিকশা পেইন্টিং এর গয়না, শাড়ি,ওড়না, পর্দা, ব্যান্ড ও তৈরি করছেন হ্যান্ড পেইন্টিং এর মাধ্যমে।
যারা রিকশা পেইন্ট করেন তারা মূলত রিকশায় আকার মতো করেই পেইন্ট করেন। এই রিকশা পেইন্টেড পন্যের মধ্যে আছে পুরনো দিনের হারিকেন বাতি, বোতল, স্টীলের ট্রাংক, মাটির হাড়ি, স্টীল ও মাটির প্লেট, সান গ্লাস,মাথার ক্যাপ, কাপড়ের বেল্ট সহ আরো নানাবিধ পন্য। ক্রেতার চাহিদার উপর নির্ভর করেই এই সব পন্য কে আঁকা হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।তবে রিকশা পেইন্টিং এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশী আলোচিত হয়েছ সান গ্লাস। বেশীর ভাগ তরুন তরুনী রোদ চশমায় রিকশা পেইন্ট পছন্দ করেন। এবং তারা এই রিকশা পেইন্টেড চশমা পরে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন জায়গায়। কেউ কেউ আবার নাম লিখিয়ে নেন চশমার দুই সাইডে নিজেদের বিশেষ ভাবে উপস্থাপন করতে। রিকশা পেইন্টিং যখন ফেব্রিকে চলে আসে তখন বিভিন্ন পন্যের এই পেইন্টিং এর ভেরিয়েশন দেখা যায় যা কিনা রিকশ পেইন্টিং কে অন্য রকম মাত্রায় নিয়ে যায় ।
আমাদের দেশের ১০০ রকম শাড়ির উপর ই চাইলে হ্যান্ড পেইন্ট করা যাবে তবে প্রতি ক্ষেত্রে ই কালারের কম্বিনেশন এবং কালারের প্রস্তুত প্রনালী খুব ই ভিন্ন। ফেব্রিক পেইন্ট এর জন্য প্রয়োজন উন্নত মানের ফেব্রিক কালার এবং প্রয়োজনীয় ক্যামিকেল ও ফেব্রিতবে রিকশা পেইন্টিং এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশী আলোচিত হয়েছ সান গ্লাস। বেশীর ভাগ তরুন তরুনী রোদ চশমায় রিকশা পেইন্ট পছন্দ করেন। এবং তারা এই রিকশা পেইন্টেড চশমা পরে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন জায়গায়। কেউ কেউ আবার নাম লিখিয়ে নেন চশমার দুই সাইডে নিজেদের বিশেষ ভাবে উপস্থাপন করতে। রিকশা পেইন্টিং যখন ফেব্রিকে চলে আসে তখন বিভিন্ন পন্যের এই পেইন্টিং এর ভেরিয়েশন দেখা যায় যা কিনা রিকশ পেইন্টিং কে অন্য রকম মাত্রায় নিয়ে যায়ক। মূলত সুতি কাপড় কে ই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় এবং অবশ্যই হাল্কা কালারের কাপড়ের প্রাধান্য খুব বেশি। এতে করে হ্যান্ড পেইন্ট এর কোয়ালিটি খুব ই ভালো হয়। ফেব্রিক এর উপর ই যেহেতু কালার দিয়ে পেইন্ট করা হয় তখন আলাদা একটা প্রলেপ বসে সাধারণ কাপড় কে অসাধারণ সৌন্দর্যের সাথে প্রকাশ করতে।
হ্যান্ড পেইন্টিং এর আরেকটা পেইন্টিং কৌশল হলো এবস্ট্রাকট পেইন্টিং অথবা বিমুর্ত চিত্র আকা। মূলত পেইন্টিং কে শিল্পীর ভাষা হিসেবে ধরা হতো৷ একজন শিল্পী তার মনের ভিতরে থাকা সকল কথা কে প্রকাশ করতো তার পেইন্টিং এর মাধ্যমে। এই পেইন্টিং নির্দিষ্টভাবে কোনো কিছুকে উল্লেখ্য করে বোঝায় না। মূলত এর কালার, লাইন, সাবজেক্ট ইত্যাদির সামঞ্জস্যতা দেখেই এই পেইন্টিং এর ভাষা বোঝা যায়। বিখ্যাত শিল্পী রা তাদের পেইন্টিং এর মাধ্যমে কোনো ইস্যুতে সমালোচনা করতো এবং পেইন্টিং এর স্ট্রাকচার দেখেই বোঝা যেত এটা কি পজিটিভ নাকি নেগেটিভ সমালোচনা। বিমূর্ত চিত্র মূলত একজন শিল্পীর মানসিক অবস্থার প্রকাশ করে সাবজেক্ট এর উপস্থাপন এর মাধ্যমে। এবং এই পেইন্টিং এ যেকেউ যেকোনো ভাবেই অবজেক্ট এর সাহায্যে মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। বর্তমানে বিমুর্ত চিত্র ক্যানভাস থেকে পোশাকে চলে এসেছে। এবং এই বিমূর্ত চিত্রের বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোশাক পাওয়া যায় শিল্পীদের কাছে।
ফেব্রিক পেইন্টের ডিজাইন হয় ন্যাচারাল বেশীর ভাগ সময় ই কিন্তু কেউ চাইলে নিজের পছন্দ মতো ডিজাইন করে দেয়া যেতে পারে। দক্ষ চিত্র শিল্পী বা আর্টিস্ট এর মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো ডিজাইনে কাপড়ে পেইন্ট করতে পারে। এবং ফেব্রিকের ক্ষেত্রে সুতি,সিল্ক,জরজেট,লিলেন,বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাপড়ে হ্যান্ড পেইন্ট করা যায়। এবং শাড়ির ক্ষেত্রে আমাদের দেশীয় সব ধরনের শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট করা যেতে পারে। এর মাঝে উল্ল্যেখযোগ্য হলো সুতি শাড়ি,তাঁতের শাড়ি ,খেশ শাড়ি,খাদি শাড়ি,জুম শাড়ি, সিল্ক শাড়ি,হাফসিল্ক শাড়ি, মসলিন শাড়ি,বাটিক শাড়ি, কোটা শাড়ি, মনিপুরী শাড়ি, পাটের শাড়ি ।
এছাড়া ও জামদানীর মতো এক্সক্লুসিভ শাড়িতেও হ্যান্ড পেইন্ট করা যায়। প্রতিটি ফেব্রিকে ই কাজ করার ধরন আলাদা এবং কালার প্রয়োগের পদ্ধতি ও আলাদা।
পেইন্টিং এর পদ্ধতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়াটার কালার পদ্ধতি। এক্ষেত্রে কাপড়ে জলরং এর কাজ করা হয় এবং শাড়ির ডিজাইন করা হয় ওয়াটার বেইজে। এবং বার বার কোটিং ও টাচ আপ করে সঠিক শেড এবং শেইপ দিতে হয় কাপড়ে। এই পদ্ধতিতে পেইন্ট করলে কাপড় সফট থাকে এবং পরতে আরাম দায়ক হয়। এটি খুব ই সময় সাপেক্ষ কাজ তবে নিয়মিত প্র্যাক্টিস করলে যেকোনো আর্টিস্ট দুই থেকে তিন দিনে পেইন্ট করে শেষ করতে পারবে।
অন্য একটা পদ্ধতি হল এক্রামিন কালার এর ব্যবহারের মাধ্যমে। এই পদ্ধতি তে র কালার এর ব্যবহার করা হয় সাথে মিডিয়া ব্যাবহার করা হয় কাজের ফিনিশিং ভালো করার জন্য।এই মিশ্রনে পানির ব্যবহার কম থাকে।
এতে করে কাজ খুব উজ্জ্বল হয় এবং এই রঙ দিয়েও ওয়াটার কালার বেইজে কাজ করা যায়। তবে হাল্কা কালারের কাপড়ের মধ্যে এই কাজ গুলো খুব বেশি ফুটে ওঠে।
বর্তমানে হ্যান্ড পেইন্ট এর চাহিদা খুব বেশি এবং এর ফলে অনেক তরুন ই নিজেদের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে হ্যান্ড পেইন্টেড পন্যের বিজনেস করছেন ই কমার্স সেক্টরে। এবং সৌখিন মানুষের শখ পূরনের অংশ হচ্ছে এই সকল এফ কমার্সের উদ্যোক্তারা। হ্যান্ড পেইন্ট ফেব্রিকের ক্ষেত্রে সব সময় সুন্দর ফিনিশিং এর উপর নির্ভর করে এর কোয়ালিটি। কাপড়ে পেইন্ট করার পর কাপড় যেন সফট ও মোলায়েম ভাব থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হয়। কাপড় যদি শক্ত হয়ে যায় বা খসখসে ভাব দেখা যায় তা হলে তার কোয়ালিটি তুলনামূলক ভাবে কম ভাল ধরা হয়।
হ্যান্ড পেইন্ট করার জন্য আদর্শ শাড়ি হলো সুতি শাড়ি। কারন সুতি শাড়িতে যেকোনো পদ্ধতিতে ই পেইন্ট করা যায় এবং এর কোয়ালিটি সবচেয়ে বেশী ভালো হয়। সুতি শাড়ির মাঝে ও অনেক কোয়ালিটি আছে। মূলত সুতার মানের উপর ই সুতি শাড়ি মান নির্ভর করে। একদম পিউর সুতি শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট এর মাধ্যমে যেকোনো মোটিফ কে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। এই সকল শাড়িতে রঙ টেকসই হয় এবং রঙ ছড়িয়ে আলাদা ভাবে নতুন করে কালার শেড তৈরি হয়।
জামদানীর মতো এক্সক্লুসিভ শাড়িতে পানি লাগানো যায় না সেখানে ওয়াটার কালার এর মাধ্যমে পেইন্ট করলে শাড়ি নস্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওয়াটার কালার পদ্ধতি বাদ দিয়ে এক্রেলিক কালারের মাধ্যমে অনেকেই কাজ করেন আবার হোয়াইট পেস্ট অর্থাৎ সাদা কালারের সমন্বয় করে কাজ করলে কাজের কোয়ালিটি শক্ত হলেও শাড়ি নস্ট হবার সম্ভাবনা কমে যায়। । জামদানী শাড়ি কাটা ওয়াশ করতে হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত হ্যান্ড পেইন্টেড জামিদানী শাড়ি কিভাবে যত্ন ও ওয়াশ করতে হয় তা জানা যায় নি। এক্ষেত্রে এখনো কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এর সঠিক রিসার্চ প্রয়োজন।
মসলিন শাড়ির সাথে জুড়ে আছে আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস। বাংলার মসলিন স্থান পেয়েছে লন্ডনের জাদুঘরে এবং ব্রিটিশদের খুব পছন্দ কাপড় ছিল মসলিন। মসলিনের কাপড় কে আরও বেশি আকর্ষণীয় রুপ দিতে হ্যান্ড পেইন্ট খুব ই প্রশংসনীয় মাধ্যম। হ্যান্ড পেইন্ট এর ফলে মসলিনের স্বচ্ছতা কমে যায় এবং এক কালারের মসলিনে নানান কালারের হ্যান্ড পেইন্ট ডিজাইন মসলিন কে করে আরো বেশী এক্সক্লুসিভ।
হাফসিল্ক কাপড়ে পেইন্টিং এর ফিনিশিং ভালো আসে এবং বেশীর ভাগ উদ্যোক্তা এবং ক্রেতারা হাফসিল্ক কাপড়ের হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি পছন্দ করেন। এর মূল কারন হাফসিল্ক শাড়ি স্বল্প খরচে পাওয়া যায় এবং এতে মেটারিয়ালস খরচ অন্যান্য শাড়ির তুলনায় কম লাগে এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি হয়। হাফ সিল্ক কাপড় মূলত সুতি ও সিল্ক সুতার সমন্বয় এ তৈরি হয় তাই এতো কালার খুব ভালো ফোটানো সম্ভব।
খাদি শাড়ির বুনন দুই ভাবেই হয় একটা হ্যান্ডলুম আরেকটা পাওয়ার লুম। মেশিনের চেয়ে হ্যান্ড লুম শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করতে বেশি সুবিধা কারন হ্যান্ড লুম যেকোনো শাড়িই হয় সফট এবং মোলাইয়েম৷ যারফলে পেইন্ট করতে সুবিধা হয় এবং নানান রকম ডিজাইন সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
খেস শাড়ি হলো রবীন্দ্রনাথ এর সময়কার শাড়ি।পুরানো কাপড়ের পাকানো ফালি দিয়ে তাঁতে শাড়ি বোনা হয় এবং এই পাকানো ফালি কে ই খেশ বলা হয়। খেশ শাড়ি হ্যান্ডলুম শাড়ি এবং এতে হ্যান্ড পেইন্ট খেশ শাড়িকে অন্যরকম সৌন্দর্যের পাশাপাশি দারুন ফিনিশিং দেয়।
কোটা শাড়ির আলাদা বৈশিষ্ট্য ই হলো এর বুনন পদ্ধতি। চৌখুপি হয়ে কোটা শাড়ি গুলো দেখতে খুব দারুন লাগে। সেই কোটা শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ অসাধারণ একটা সৌন্দর্য দেয়। কোটা শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট করলে ফিনিশিং মসৃন হয়না এর বুননের কারনে। তবে কাজের দিক থেকে খুব ই সুন্দর দেখায় এই শাড়িতে।
জুম শাড়িতে পেইন্টিং সুন্দর হয় কিন্ত শাড়ির সুতা লিলেন ও হাফ সিল্কের কম্বিনেশনে থাকে বিধায় এই শাড়িতে রঙ ছড়ায় এবং এই রঙ ছড়ায় বিধায় চাইলে এই শাড়ি জলরং এর মাধ্যমে পেইন্ট করা যেতে পারে।
সিল্ক শাড়ির মসৃনতা যেকোনো কাপড়কে হার মানায়। সিল্ক যেমন এক্সক্লুসিভ কাপড় তেমনি হ্যান্ড পেইন্ট করার সময় আলাদা যত্নে সিল্ককে পেইন্ট করতে হয়। সিল্ক শাড়ির সুতা হয় সম্পুর্ন রেশমের তাই রঙ খুব ছড়িয়ে যায় তাই পেইন্ট করার আগেই ডিজাইনের উপর গ্লুটা নামক এক ধরনের গাম দিয়ে বির্ডার লাইন করে নিতে হয়। এর ফলে বর্ডারের ভিতরে রঙ দিলে রঙ আর ছড়ায় না এবং কাপড়ে ডিজাইন দারুন ফুটেম তবে সিল্কের অনেক ক্যাটাগরি আছে সেই সকল ক্যাটাগরির মধ্যে কিছু কিছু শাড়িতে গ্লুটা ছাড়া ও পেইন্ট করা যায়।
বাটিক কাপড় আলাদা ভাবেই এর আরামদায়কতার জন্য সমাদৃত। এই বাটিক কাপড়ে হ্যান্ড পেইন্ট অনেক সুন্দর হয় এবং কোয়ালিটি ও হয় অনেক হাই। বাটিক করার পর কাপড় খুব নরম হয়ে যায় এবং এর ফলে হ্যান্ড পেইন্ট করতে অনেক সুবিধা হয়। বাটিক কাপড়ে পেইন্ট বাটিক কে আরো বেশী সমাদৃত করে। কারন বাটিক ও হ্যান্ড পেইন্ট অসাধারণ একটা কম্বিনেশন হয়।
মনিপুরী কাপড়ের বুনন কিছুটা ফাকা ফাকা হয় তাই মনীপুরি কাপড়ে ওয়াশ পদ্ধতি তে কাজ করা যেতে পারে খুব সুন্দর ভাবে। মনীপুরি শাড়ি খুব ই হাল্কা ওজনের এবং পেইন্ট করার পর কাপড় একটু ভারী অনুভব হয়। এবং কাপড়ের কোয়ালিটি খুব ভালো হয়।
পাটের শাড়ির কথা আমরা কবিতায় জানলেও মাঝে এই পাটের শাড়ি, কাপড় বিলুপ্ত প্রায় হয়ে গিয়েছিল কিন্তু বর্তমানের সঠিক প্রচার ও প্রসারের কারনে নতুন করে পাটের শাড়ির চাহিদা বেড়েছে। এবং এই পাটের শাড়িতে নানা রকম ইনোভেশন এর মধ্যে একটি হলো হ্যান্ড পেইন্ট। হ্যান্ড পেইন্ট এর জন্য পাটের শাড়ি খুব উপযোগী একটা কাপড়। হ্যান্ড পেইন্ট এর পাটের শাড়ির অনেক গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে বর্তমানে।
হ্যান্ড পেইন্ট শুধু শাড়িতে সীমাবদ্ধ নয় বরং থ্রীপিস, কামিজ, ওড়না, পাঞ্জাবী, বেবি ড্রেস, হিজাব, ব্যাগ, জুতা এর মত পন্য ছাড়াও বর্তমানে ফ্যাশন সচেতন মানুষেরা গৃহ সজ্জায় ও ব্যবহার করছে হ্যান্ড পেইন্ট করা পন্য। যেমন বেড কভার, পর্দা, টেবিল ম্যাট, কুশন কভার, ওয়াল ম্যাট সহ আছে নানা রকমের উপকরন। হ্যান্ড পেইন্টেড পন্যের চাহিদা শুধু ফেব্রিকের ক্ষেত্রে ই নয় বরং হোম ডেকরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এই শিল্প কর্ম।
ফেব্রিকের বাইরে আছে গ্লাস পেইন্ট, সিরামিক পেইন্ট এর ও নানা বিধ সমারোহপূর্ণ পন্য। এবং মেয়েদের গহনার দিকেও হ্যান্ড পেইন্ট খুব জনপ্রিয়। হ্যান্ড পেইন্টেড গহনা পছন্দের শীর্ষে বর্তমানে। হ্যান্ড পেইন্ট করা টিপ,মালা,চুড়ি,হাতের আংটি এবং ব্রেসলেট আছে গয়নার শীর্ষে।
এই সব গয়নার ডিজাইন আকা হয় কাঠের অবজেক্ট এর উপর। এবং এই কাঠের অবজেক্ট এ পেইন্ট করার নিয়ম আবার ভিন্ন৷ এক্রেলিক কালার দিয়ে রঙ করতে হয় এবং পরে পেইন্ট স্প্রে করতে হয় যেন টেকসই হয় পেইন্টেড ডিজাইন গুলো।
সাধারণত হ্যান্ড পেইন্টিং এর মধ্যে আর্টিস্ট তার নিজের পছন্দের মোটিফ ই তুলে ধরেন। যেমন কেউ ভালোবাসেন ফুল লতা পাতার ডিজাইন আবার কেউ ভালো বাসেন নকশী ডিজাইন। কারো আবার ময়ুর, পাখি, পেঁচা এবং গাছ পালা পছন্দ। তাই হ্যান্ড পেইন্ট করার সময় নিজের পছন্দের দিকেই নজর দেন সব চেয়ে বেশী। তবে এক্ষেত্রে যদি আর্টিস্ট উদ্যোক্তা হোন তাহলে অবশ্যই ক্রেতাদের পছন্দসই করে পেইন্ট করে দিতে হয়। ক্রেতার পছন্দে ই একটা শাড়ি কিংবা পন্যকে রাংগিয়ে তোলা যায় নানা রঙে।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হ্যান্ড পেইন্ট এর সাব্জেক্ট থাকে প্রাকৃতিক বিষয় বস্তু গুলো। ফুলের প্রাধান্য থাকে বেশী। মাঝে মাঝে অনেকে প্রোট্রেইট পেইন্টিং করেন যেমন টা ক্রেতা চান নিজের ছবি কে কাপড়ে একে নেয়ার জন্য। মোটিফের ক্ষেত্রে বিদেশি ফুলের প্রাধান্য এর পাশাপাশি দেশীয় ঋতু ভিত্তিক ফুল খুব প্রাধান্য পায়। কারন ফোটোস্যুট এবং কাপড় কে উপস্থাপন করতে এই ফুলের সিজন খুব উপযুক্ত সময় হয় একজন পেইন্টার এর জন্য।
হ্যান্ড পেইন্টেড পন্যের যত্নের ক্ষেত্রে ও রয়েছে ভিন্নতা। শখের পেইন্টেড পন্য কে যেমন সময় শ্রম ও আবেগ দিয়ে তৈরি করা হয় তেমনি হ্যান্ড পেইন্টেড পন্যকে যত্ন করতে হয় আবেগ দিয়ে। সাধারণ কাপড়ের মতো এই পন্য কে যত্ন করলে স্থায়িত্ব হারাবে এই সৌন্দর্য। পরিধেয় বস্ত্রের ক্ষেত্রে যদ সুতি কাপড় এর হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ি কামিজ থ্রি পিস ওয়াশের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত নিয়ম গুলো মানা উচিত।
১/ কাপড়কে ক্ষারীয় পদার্থ দিয়ে ভিজিয়ে রাখা যাবে না কখনো ই। হাল্কা শ্যাম্পু ওয়াশ খুব গুরুত্বপূর্ণ এই সব পেইন্টেড কাপড়ে।
২/ পেইন্টেড কাপড় ব্রাশ করা যায়, ওয়াশিং মেশিনে দেয়া যায় না, এবং খুব বেশী কচলে ধোয়া ও উচিত না।
৩/ ধোয়ার পর খুব বেশী চেপে পানি না ঝড়িয়ে স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখলে পানি ঝড়ার পর হাল্কা রৌদ্রময় স্থানে শুকানোর জন্য মেলে দিতে হবে।
৪/ আয়রন করার প্রয়োজন পরলে অবশ্যই পেইন্টেড অংশের উলটো পিঠে লো হিটে আয়রন করতে হবে।
৫/পেইন্ট করা মসলিন কাপড় ড্রাই ওয়াশে দিতে হবে।
৬/ পেইন্টেড কাপড় নখ দিয়ে খোটানো উচিত না। এবং কড়া রোদে না দিয়ে বাতাস আছে এমন রোদে দেয়া উচিত। ব্যবহার এর পর ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে হাল্কা রোদে গরম করে আলমারিতে তুলে রাখা ভালো।
হোম ডেকর হ্যান্ড পেইন্টেড পন্যের যত্নের ক্ষেত্রে ও এই রকম নিয়মাবলি প্রযোজ্য তবে ব্যতিক্রম এর মধ্যে বেডকভার, পর্দা, টেবিল ম্যাট এগুলো অকেশনালি ব্যবহার করা ভালো। কিন্তু পর্দা ও কুশন কভার, টেবিল ম্যাট রেগুলার ব্যবহার করলে ও সপ্তাহ সপ্তাহ ধুলোবালি ঝেড়ে রাখার পরমর্শ রইলো ক্রেতাদের প্রতি। এতে করে শখের জিনিস গুলো ভালো থাকবে অনেক দিন।
লেখিকাঃ